রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০১০

খুশকি

"বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে চুলে চিরুনি করতেই মেজাজটাই বিগড়ে গেল রিমির, মাথার ওপর খুশকি ভাসছে।র খুশকির যন্ত্রণায় অস্থিরিমি। শীত এলে তো কথাই নেই। মাথায় একেবারে রাজত্ব গেড়ে বসে খুশকি। বাইরে যেতে অস্বস্তি হয়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে রিমির এই সমস্যা হতো না। এমন কিছু নিয়মের কথা জানাচ্ছেন পারসোনার রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান

খুশকি কেন হয়?
খুশকি হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। জন্মগত বা জেনেটিক্যাল কারণে হলে খুশকি বশে আনাটা বেশ কষ্টকর। এক্ষেত্রে খুলির ত্বকে সমস্যা থাকে। অনেকের ওষুধে সারে, অনেকের সারে না। ওষুধ ব্যবহার করে এবং কিছু নিয়ম মেনে খুশকি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
অন্যান্য কারণ : অতিরিক্ত ধুলাবালিতে চুলে ময়লা জমে যায় দ্রুত। ফলে খুশকির উপদ্রব বাড়ে।
করণীয় : যতটা সম্ভব ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন। রাস্তায় চলাচলের সময় মাথা স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রাখুন। যদি প্রতিদিনই অতিরিক্ত ধুলাবালিতে চলতে হয়, তাহলে প্রতিদিন বা একদিন অন্তর মাইল্ড শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার আগে অাঁচড়িয়ে চুল থেকে ধুলাবালি ঝেড়ে ফেলুন।
শুষ্ক আবহাওয়া : শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আদর্্রতা কমে গিয়ে চামড়া ওঠে বা ত্বককে রুক্ষ করে। ফলে খুশকি বেড়ে যায়।
করণীয় : গরম নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে লাগান। একটা টাওয়াল গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন মিনিট বিশেক। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ঘাম, বৃষ্টির পানি : ঘাম, বৃষ্টির পানি চুলের জন্য ক্ষতিকর। বার বার ঘষলে চুলকানি ও খুশকি হয়। আর বৃষ্টির পানিতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়।
করণীয় : যখনই সম্ভব দ্রুত ঘাম শুকিয়ে নিন। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন হলে বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। বৃষ্টির পানি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। সম্ভব না হলে বাসায় ফিরেই মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
বাড়িতে তৈরি করুন হেয়ার প্যাক
১. সকালে পাতিলেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে মাথায় লাগান। ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন।
২. ডিমের সাদা অংশ, লেবু, নিমপাতা এবং আদার রস মিশিয়ে মাথায় লাগান। আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
৩. পেঁয়াজের রস, ডিম, বাঁধাকপির রস_এগুলোতে প্রচুর সালফার আছে। এগুলো মাথায় লাগিয়ে আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
৪. নিম তেল ব্যবহারে খুশকি চলে যায়।
৫. আমলকীর রস ও মেথি বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান, খুশকি চলে যাবে।

কী করবেন
হট অয়েল ম্যাসাজ করুন।
খুশকির সমস্যা প্রকট হলে হেনা ব্যবহারের সময় ছেঁকে শুধু রসটা মাথায় দিন।
চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারের সময় ছয় ইঞ্চি দূরত্বে রেখে ব্যবহার করুন।
ভেজা চুল বাঁধবেন না।
বৃষ্টির পানি এড়িয়ে চলুন। কী করবেন না
কমন ব্রাশ ব্যবহার করবেন না।
পার্লারে চুল কাটতে গেলে চিরুনিটা পরিষ্কার কি না দেখে নিন।
নিজের চিরুনি পরিষ্কার রাখুন।
চিরুনি, পরচুলা, টাওয়েল_ এগুলো আলাদা ব্যবহার ক

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন