মঙ্গলবার, ২৭ জুলাই, ২০১০

"- Sent using Google Toolbar"

চালকুমড়ার হালুয়া

"চালকুমড়ার হালুয়া
উপকরণ
পাকা চালকুমড়া দুই কাপ, চিনি দেড় কাপ, ঘি আধা কাপ, দারুচিনি দুই টুকরো, গোলাপ জল দুই টেবিল চামচ
যেভাবে তৈরি করবেন
১. চালকুমড়া খোসা ছড়িয়ে টুকরো করুন।
২. বীচিসহ নরম অংশ কেটে ফেলুন।
৩. এবার টুকরোগুলো পানিতে সিদ্ধ করুন।
৪. সিদ্ধ চাল কুমড়া পানি ঝরিয়ে দুই কাপ পরিমাণ বেটে নিন।
৫. চালকুমড়া, চিনি, ঘি, দারুচিনি ও জাফরান একসঙ্গে মিশিয়ে চুলায় দিন।
৬. পানি শুকিয়ে গেলে নেড়ে কষাতে থাকুন। গোলাপ জল দিয়ে পাঁচ মিনিট পর নামিয়ে ফেলুন।


- Sent using Google Toolbar"

মনের মতো বারান্দা

"নিরিবিলিতে বসে দুদণ্ড অবসর কাটাবেন? বারান্দার বিকল্প আর কী হতে পারে? সেই বারান্দাটা যদি সুন্দর, পরিপাটি করে সাজানো থাকে তো অবসরে সানন্দে চায়ের পেয়ালা হাতে চলে যেতে পারেন। চলুন তবে জেনে নিই বিশ্রামের জায়গা বারান্দা কিভাবে সাজাবেন।
দেখে নিন_বুঝে নিন
হবারান্দা সাজানোর আগে দেখে নিন এর আয়তনটা কতটুকু। ছোট বারান্দা হলে সাজানোর উপকরণগুলো যেন হালকা ধরনের হয়।
হযদি নিজেই বাড়ি বানান তো সে ক্ষেত্রে বারান্দার আয়তন খানিকটা বড় রাখতে পারেন। কারণ অবসর সময় কাটাতে পারবেন এখানে।
হবারান্দার আয়তন ছোট-বড় যা-ই হোক না কেন, যদি রোদ আসে তো যেকোনো ধরনের গাছ দিয়েই সাজাতে পারেন।
হপাতাবাহার, মানিপ্ল্যান্ট, বনসাই, ছোট পাম গাছ, ফরচুন ট্রি, চায়নিজ কামিনী এবং বিভিন্ন ধরনের ফুলের মধ্যে রঙ্গন, গোলাপ, রজনীগন্ধা, দোলনচাঁপার চারা টবে লাগাতে পারেন।
হবারান্দায় টবের ক্ষেত্রে অবশ্যই সৌন্দর্য বর্ধন করে এমন টবই পছন্দ করতে হবে। মাটির টব হলে যেন কারুকাজ করা থাকে। এ ছাড়া সিরামিক, তামা, পিতল বা সিমেন্টের টব দিয়ে বারান্দা সাজাতে পারেন।
হমাটির টবে কিছু দিনের মধ্যেই শ্যাওলা জমে যায়, তাই কয়েক দিন পরপরই টবের গায়ের শ্যাওলা পরিষ্কার করতে হবে।
হবড় বারান্দা হলে বসার জন্য সোফা রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বেতের সোফাই ভালো মানাবে। আবার ছোট বারান্দার ক্ষেত্রে মোড়া বা টুল বা নিদেনপক্ষে একটা ছোট রকিং চেয়ার রাখতে পারেন।
হদেয়াল প্লাস্টার ছাড়া রাখতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দেয়ালে যেকোনো ধরনের গ্লসি ধাঁচের রং ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়াও টেরাকোটা, টাইলস বা রাস্টিক টাইলস লাগালেও ভালো দেখাবে।
হদেয়ালে ঝুলন্ত শোপিস, চিত্রকর্ম ঝোলাতে পারেন।
হবারান্দায় দেয়ালের রং খানিকটা উজ্জ্বল হলে ভালো দেখাবে। এ ক্ষেত্রে লাল, কমলা, লেমন, সবুজাভ হলুদ ভালো।
হবারান্দায় ঝুলন্ত আলো ভালো। আর রং যেন স্নিগ্ধ হয়।
হবারান্দায় অবশ্যই মৌসুমি ফুলের গাছ লাগাতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে ঝুলন গাছেও সাজানো যেতে পারে।


পরামর্শ

রুমানা আফজাল খান
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার
অন্দরসজ্জা

সমস্যা

একতলা বাড়ি। বারান্দাটা বড়। কিভাবে সাজাব জানালে উপকৃত হব।
আশরাফ আহমেদ
লিলি মোড়
দিনাজপুর।


সমাধান

বসার ব্যবস্থা যেন থাকে, টবে করে গাছ লাগাতে পারেন। আর অ্যাকুরিয়াম, পাখি, খরগোশ, গিনিপিগ রাখতে পারেন। সম্ভব হলে গান শোনার যন্ত্রটি বারান্দায় রাখতে পারেন।


- Sent using Google Toolbar"

ছিমছাম আভিজাত্যে মোড়া

"ফ্ল্যাটের করিডোর মাটির পট দিয়ে সাজানো। নিপাট বাঙালি অভ্যর্থনা। দরজার বাইরের দেওয়ালে ফ্রেমে বাঁধানো মিসরের ছবি। দরজা খুলতেই ছোট প্যাসেজ। কাঠের কারুকাজ করা দেওয়ালে জোড়া আয়না। প্যাসেজের বাঁয়ে ড্রইং রুম। তিন দিক জুড়ে আছে দুই সেট সোফা। সোফার কোণে রট-আয়রনের ফুলদানিতে কৃত্রিম রঙিন ফুল। ঘরের দেওয়ালে অফ-হোয়াইট রঙের সঙ্গে সোনালি-মেজেন্টা মসলিন পর্দা খুবই দৃষ্টিনন্দন। ঘরের দুই কোণে রয়েছে দুটি শোকেস। যার একটি বিভিন্ন পুরস্কারে সজ্জিত। যা নোবেলের জনপ্রিয়তার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। অন্য শোকেসে ক্রিস্টালের শোপিস। দুই দিকের দেওয়ালে শিল্পী সুমনা হক এবং চিত্রশিল্পী সারোয়ারের আঁকা তৈলচিত্র। যা ঘরের আভিজাত্য বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকখানি। কাজী রাকিবের গ্লাস পেইন্টিংয়ে তৈরি পার্টিশন। দরজার অন্য পাশে প্রশস্ত ডাইনিং। পার্টিশন দরজার পাশের দেয়ালে জোড়া শোকেস। ডাইনিংয়ের বাঁয়ে নোবেল-শম্পা দম্পতির ছিমছাম, বাহুল্যবর্জিত শোবার ঘর। ঘরের ঠিক মাঝখানে শোবার খাট। খাটের মুখোমুখি টিভি। বেডসাইড টেবিলে নোবেল-শম্পার ফটো। বেডরুমে ঢোকার আগেই চোখে পড়ে দেয়ালে ঝুলানো ফ্রেমে বন্দি পারিবারিক বেশ কিছু ছবি। পাশেই সুমনা হকের আঁকা আরো একটি তৈলচিত্র। ঘরের কোথাও অতিরিক্ত আসবাবের ভিড় নেই। নোবেলের মতোই ছিমছাম_আভিজাত্যে মোড়া নোবেলে

যেমন চুল তেমন শ্যাম্পু

"যথাযথ ডায়েট, সঙ্গে চুলের যত্ন এবং ট্রিটমেন্টে গরমে ছেলেদের চুলের নানা ধরনের সমস্যা থেকে সহজে রেহাই পাওয়া সম্ভব। চুল নিয়ে নানা যন্ত্রণার সমাধান দেয় শ্যাম্পু। তাই চুলের পরিপূর্ণ পুষ্টির জন্য সঠিক শ্যাম্পুই ব্যবহার করাটা উত্তম।
খুশকিযুক্ত চুল
সপ্তাহে দুই দিন অলিভ অয়েল গরম করে তুলো দিয়ে স্ক্যাল্পে লাগান। হালকা করে ঘষুন। সারা রাত রেখে পরের দিন ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। চুল ধোয়ার আধঘণ্টা আগে স্ক্যাল্পে লেবুর রস লাগান। এতে খুশকি কমবে। মাইল্ড হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। তবে অল্প পরিমাণ শ্যাম্পু লাগান। খানিকটা লম্বা চুলের জন্য এক চা চামচ এবং ছোট চুলের জন্য হাফ চা চামচ শ্যাম্পু যথেষ্ট।
নির্জীব চুল
নির্জীব চুলের ক্ষেত্রে মাসে দুই বার হেনা প্যাক ব্যবহার করতে হবে। চুলের বৃদ্ধির জন্য নারিকেল তেলের পরিবর্তে আমন্ড অয়েল ব্যবহার করা যাবে। শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে ভিটামিন 'এ' এবং 'ই' সমৃদ্ধ শ্যাম্পুই ব্যবহার করা শ্রেয়। তবে শ্যাম্পু করার পর এক লিটার পানিতে একটি গোটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
অতিরিক্ত শুষ্ক ও ফ্রিজি চুল
এ ধরনের চুলের ক্ষেত্রে নিয়মিত হট অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। সঠিক শ্যাম্পু ও হেয়ার কন্ডিশনিক ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও এক লিটার পানিতে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে শ্যাম্পুর পরে ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে হেয়ার স্পা করতে পারেন।
রং করা চুল
কড়া রোদে রং করা চুল সহজেই খারাপ হয়ে যায়। রং করা চুলের ক্ষেত্রে আলট্রাভায়োলেট ফিল্টারসমৃদ্ধ শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। হালকা হাতে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে নিন। জোরে ঘষবেন না। চুলের কিউটিকল নষ্ট হয়ে যাবে। চুলের রং হালকা হয়ে যাবে। মাসে অন্তত একবার কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করান।

জেনে রাখুন
* তৈলাক্ত চুলে ঘন কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না। হেয়ার রিনস ব্যবহার করুন।
* শ্যাম্পু করার পর পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে চুল ভালো করে ধুয়ে নিন। চায়ের পানিও ব্যবহার করতে পারেন।
* শুষ্ক চুলে ভিনিগার, মধু ও ডিমের মিশ্রণ স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে চুলের ভলিউম আসবে।
* চুল শুষ্ক হলে রোদে বেরোনোর আগে লেবুর রস স্ক্যাল্পে লাগাবেন না। অ্যালকোহলসমৃদ্ধ শ্যাম্পু চুলে ব্যবহার করবেন না।

- Sent using Google Toolbar"

ব্রণ ত্বকে শেভ

"সদ্য কৈশোর পেরোনো অনেক ছেলের মুখেই ব্রণ ওঠে। আবার অনেকের মুখে তৈলাক্ততার কারণে ব্রণ ওঠা শুরু হয়। ব্রণ যে কারণেই হোক, এর হাত থেকে নিস্তার পেতে চায় সবাই। যাঁরা করপোরেট অফিসে কাজ করেন অথচ মুখে ব্রণ আছে, তাঁদের সমস্যা আরো বেড়ে যায়। কারণ তাঁদের প্রায় প্রতিদিনই শেভ করতে হয়। ব্রণ ওঠা ত্বকে কিভাবে শেভ করবেন তা জেনে নেওয়া যাক।
হশেভ শুরু করার আগে আপনার মুখ দুই-তিনবার কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। তারপর শেভিং ক্রিম লাগানোর আগ পর্যন্ত মুখ ভেজা রাখুন।
হমুখের শেভিং জোনের পুরো অংশে ভালো করে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগান।
হশেভিং জেলের কাজ হলো মুখ এবং ব্লেডের মধ্যে ঘর্ষণ কমিয়ে আনা। হাইকোয়ালিটি জেলে ব্যবহৃত হয় বেশ কিছু এডিটিভ, যা আপনার ত্বককে রক্ষা করে এবং সেভের কমফোর্ট বাড়িয়ে দেয়। আপনার মুখের ওপর মোটামুটি পরিমাণ জেল লাগিয়ে নিন এবং আস্তে আস্তে ঘষে তা পুরো মুখের ওপর লাগান।
হএরপর শেভ করা শুরু করুন। শেভ করার সময় রেজারের ব্লেড দাড়ির সঙ্গে সঙ্গে আপনার ত্বকের একটা লেয়ারকেও সঙ্গে করে তুলে নিয়ে আসে। মুখকে ফ্রেশ রাখার জন্য এই সময় যথেষ্ট পরিমাণ পানি প্রয়োগ করুন মুখের ওপর।
হযেহেতু মুখে ব্রণ রয়েছে তাই আফটার শেভ হিসেবে অবশ্যই নন অ্যালকোহলযুক্ত আফটার শেভ ব্যবহার করবেন। বাজারে এখন পোস্ট শেভ জেল পাওয়া যায়, যা ব্রণ ত্বকে ভালো কাজ করে।
যত্ন নিন
হব্রণপ্রবণ ত্বকে বাড়তি যত্ন নিতে হয়। প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। ভাজা ও বাসি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। মুখ পরিষ্কার রাখতে হবে। মুখের ব্রণ ভালো না হওয়া পর্যন্ত নিয়ম মেনে শেভ করা উচিত। সেই সঙ্গে ভালো কোনো পার্লারে গিয়ে পিম্পল ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা উচিত ।

বর্ষায় ভাজাভুজি

"চিকেন ফিঙ্গার

উপকরণ : মুরগির বুকের মাংস ২৫০ গ্রাম, ডিম ১টি, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ১ চিমটি, লবণ ১ চা চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, চিনি ১ চিমটি, তেল ২ কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. মাংস চিকন করে কেটে নিন।
২. ধুয়ে লবণ, মরিচ গুঁড়া, গোলমরিচের গুঁড়া, ডিম, লেবুর রস, চিনি ও কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ১ ঘণ্টা মাখিয়ে রাখুন।
৩. কড়াইয়ে তেল গরম করে (মাঝারি আঁচে) বাদামি করে ভাজুন। লক্ষ রাখবেন, যেন মচমচে হয়।
৪. সস বা পুদিনা পাতায় চাটনি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

শিঙ্গাড়া

উপকরণ : ময়দা ২ কাপ, লবণ ১ চা চামচ, সুজি ১ টেবিল চামচ, বড় আকারের আলু ২টি, গাজর ২টি, চীনাবাদাম ১ টেবিল চামচ, কালিজিরা ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৫টি, পেঁয়াজ ২টি, তেল ২ কাপ, বিট লবণ ১ চিমটি।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. ময়দা, সুজি, ২ টেবিল চামচ তেল ও কালিজিরা লবণ দিয়ে ময়ান দিন। আন্দাজমতো পানি দিয়ে মাখান। ময়দার খামির যেন একটু শক্ত থাকে।
২. আলু, গাজর ছোট ছোট কিউব করে কাটুন। গরম তেলে পেঁয়াজ-কাঁচামরিচ দিয়ে একটু ভেজে আলু, গাজর ও চীনাবাদাম দিন। একটু ভেজে অল্প পানি দিয়ে ঢেকে দিন।
৩. সেদ্ধ হয়ে গেলে নেড়ে নেড়ে ভাজুন, যেন আলু, গাজর ভাজা ভাজা হয় এবং ভেঙে ভেঙে যায়।
৪. ময়দার খামির ছোট ছোট ভাগ করুন। লুচি আকারে বেলে ছুরি দিয়ে কেটে দুই ভাগ করুন।
৫. থলির মতো ভাঁজ করে আলুর পুর ভরুন। পানি লাগিয়ে মুখ বন্ধ করুন।
৬. এবার ডুবো তেলে ভেজে বিট লবণ ছিটিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন চায়ের সঙ্গে।

নুডলস সবজি পাকোড়া

উপকরণ : নুডলস ১ প্যাকেট, ডিম ১টি, আলু কুচি আধা কাপ, গাজর কুচি আধা কাপ, মটরশুঁটি ২ টেবিল চামচ, পুঁইশাক আধা কাপ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ কুচি ৫টি, কর্নফ্লাওয়ার বা ময়দা ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, তেল ২ কাপ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. নুডলস সেদ্ধ করে নিন।
২. আলু, গাজর, মটরশুঁটি ও শাক হালকা ভেজে নিন।
৩. পানি ঝরিয়ে ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, লবণ, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে নুডলস ও সবজি মাখিয়ে ডুবো তেলে ভাজুন।
৪. সস বা চাটনি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

- Sent using Google Toolbar"

শুঁটকির তিন পদ

"চ্যাপা শুঁটকি ভর্তা

উপকরণ : চ্যাপা শুঁটকি আধা কাপ, কাঁচামরিচ ১০টি, তেজপাতা ১টি, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, শুকনো মরিচ গুঁড়া ২ টেবিল চামচ, চিনি আধা চা চামচ, লেবুর রস ১ চা চামচ, আদা বাটা আধা চা চামচ, রসুন বাটা ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে বেটে নিন।
২. তেল গরম করে আদা-রসুন দিয়ে ভালো করে কষিয়ে শুঁটকি দিয়ে আবার কষান।
৩. হলুদ, ধনিয়া, সরিষা গুঁড়ো, তেজপাতা ও লবণ দিয়ে মাঝারি আঁচে আট-দশ মিনিট কষিয়ে নিন।
৪. পেঁয়াজ দিয়ে নরম হয়ে এলে চিনি, লেবুর রস ও কাঁচা মরিচ দিয়ে পাঁচ মিনিট পরে নামিয়ে পরিবেশন করুন।

লইট্যা শুঁটকি
দোপেঁয়াজু

উপকরণ : শুঁটকি আধা কাপ, পেঁয়াজ ২ কাপ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ৫টি, জিরা বাটা ১ চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. লইট্যা শুঁটকি কেটে তাওয়ায় টেলে নিন।
২. গরম পানিতে পরিষ্কার করে ধুয়ে পাটায় ছেঁচে নিন।
৩. কড়াইয়ে তেলে গরম করে পেঁয়াজ হালকা বাদামি করে ভাজুন।
৪. এবার শুঁটকিসহ সব মসলা দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নামিয়ে ফেলুন।

চিংড়ি শুঁটকি ভর্তা

উপকরণ : চিংড়ি শুঁটকি ১ কাপ, শুকনো মরিচ ১০টি, বড় রসুন ১টি, বড় পেঁয়াজ ২টি, লবণ আধা চা চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. শুঁটকি তাওয়ায় টেলে নিন।
২. টালার পরে গরম পানি দিয়ে শুঁটকি ভালো করে ধুয়ে নিন।
৩. এবার সব কিছু একসঙ্গে বেটে পরিবেশন করুন চিংড়ি শুঁটকি ভর্তা।

- Sent using Google Toolbar"

বহু রঙে রাঙানো বাড়ি

"লিলি ইসলামের দরজার বাইরে নকশা কাটা কালো পালতোলা বড় বজরা। পাশের সোনালি দেয়ালের পটভূমিতে সোনালি কাজ করা গোল আয়না বসানো।
দরজা খুলতেই ঘরের প্রশস্ততা প্রশান্তি এনে দেয়। প্রতি কোণে ছড়িয়ে আছে যত্নের ছাপ। বসার ঘরের দুটি জানালায় তিন স্তর পর্দার একদম উপরে দেওয়া হয়েছে অফহোয়াইট জামদানি শাড়ি। চার ডিজাইনের চারটি সোফাসেট বসার ঘরজুড়ে সাজানো। ড্রইং রুমের এক প্রান্তে কালো মার্বেল পাথরের ঘরজোড়া ডায়াস। অ্যান্টিক ডিজাইনের এক জোড়া চেয়ার, পিতলের ডিজাইন করা কাঠের চৌকি, তার ওপর পিতলের আলবোলা। একটু পেছনে দেয়াল ঘেঁষে কুকুর-মাথাওয়ালা কলের গান ডায়াসটিকে দিয়েছে নবাবী আভিজাত্য। এর বিপরীত দেয়াল যেন একটুকরো বাংলার গ্রাম। ডায়াসের এক কোণের রট আয়রনের ফুলদানিতে বিভিন্ন রঙের কৃত্রিম ফুল সাজানো। সোফার কুশন কভারগুলো শীতল পাটি দিয়ে তৈরি। দেয়ালগুলোতে শোভা পাচ্ছে নিসার হুসেন, হাশেম খান, কনক চাঁপা, শিশির ভট্টাচার্যের চিত্রকর্ম। বসার ঘরটাকে বিশিষ্টতা দিয়েছে এর ছাদজোড়া কাঠের লাইটিং প্যানেল। এক বসারঘরেই ব্যবহার করা হয়েছে চারটি রঙ। ছাদে উজ্জ্বল হলুদ, আর তিন দিকে কমলা, বাঙ্গি, অফহোয়াইট দেয়াল। এক পাশ দিয়ে উপরতলায় যাওয়ার সিঁড়ি। সিঁড়ির ধাপগুলো সাজানো হয়েছে গাছ, মোম, গাছের গুঁড়িতে তৈরি মানুষের মুখ, ব্রোঞ্জের বুদ্ধমূর্তি এবং সবার উপরে কাঠে খোদাই করা রবীন্দ্রনাথের মুখাবয়ব ভাস্কর্য। সিঁড়ির ছাদ থেকে ঝুলছে বড় আকারের শ্যান্ডলার। শ্যান্ডলারে চোখ বেয়ে উপরে তাকালে থমকে দাঁড়াতে হয়। ছাদ নয়, হেমন্তের পেঁজা তুলো ছড়ানো ঝকঝকে নীল আকাশের পটভূমিতে একটি কৃষ্ণচূড়ার ডাল চোখে পড়বে। পুরোটাই চিত্রকর্ম। সিঁড়ির নিচের ঘরটা সাজানো হয়েছে বিচিত্র সব জিনিসে। মাটির গামলায় মোম, পিতলের গোল ট্রেতে কাচের মার্বেল, আলপনা করা কাঠের পিঁড়ি, ফুল আঁকানো হারিকেন, পুতুল, হাঁস, ঘণ্টা, কচ্ছপ, টিয়া, একতারা, দোতারা_কী নেই সেখানে! পুরো অন্দরমহলে ব্যবহার করা হয়েছে কয়েক রকম উজ্জ্বল রঙ এবং দৃষ্টিনন্দন ওয়াল পেপার।

পোলাও চালের পায়েস

"উপকরণ : পোলাও চাল ৩ কাপ, তরল দুধ আধা লিটার, চিনি ২ কাপ, ঘি ৪ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ও কিশমিশ ১ কাপ, রুহ্ আফজা সিরাপ ২ টেবিল চামচ।
যেভাবে তৈরি করবেন
১. প্রথমে চাল ধুয়ে কিছুক্ষণ পানি ঝরিয়ে নিন।
২. পাতিলে ঘি গরম করে চাল দিয়ে ৫ মিনিট নাড়ুন।
৩. এরপর দুধ এবং চিনি দিয়ে নেড়ে ঢাকনা দিয়ে চুলার জ্বাল বাড়িয়ে দিন।
৪. দুধ ফুটে উঠলে জ্বাল কমিয়ে ১০ মিনিট রাখুন।
৫. এরপর নামিয়ে পাত্রে ঢেলে ওপরে কাজু বাদাম, পেস্তা বাদাম ও কিশমিশ চারদিকে ছড়িয়ে দিন।
৬. রুহ্ আফজা ছিটিয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার পায়েস।

সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০১০

দুর্গন্ধ হবে না ঘরে

দুর্গন্ধ হবে না ঘরে: "হাজারো ব্যস্ততার ভিড়েও প্রযুক্তির বদৌলতে আমাদের কাজ হয়ে যাচ্ছে সহজতর। খাবার রান্না থেকে পরিবেশন করার জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক জিনিসপত্র; রেফ্রিজারেটর, ওভেন, রাইস কুকার, ব্লেন্ডার ইত্যাদি। যা আমাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করে তুলেছে। এসব ব্যবহারে অজ্ঞতার কারণে অনেক সময় খাবার দুর্গন্ধ হয়ে যায় এবং এসব জিনিস থেকে দুর্গন্ধ বের হয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি রান্নাঘর থেকেও মাঝেমধ্যে দুর্গন্ধ বের হয়। রান্নাঘরসহ এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রে দুর্গন্ধ হওয়ার কারণ এবং এ থেকে পরিত্রাণের উপায় সম্পর্কে বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ফিরোজা সুলতানা।

জেনে নিন
১. রেফ্রিজারেটরে বাটা মসলা ভালোমতো না ঢেকে রাখলে ভেতরে গন্ধ হয়ে যেতে পারে।
২. যেকোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখলে প্লাস্টিকের বাটিতে ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে।
৩. রেফ্রিজারেটর অবশ্যই নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রেখে দিতে হবে, যাতে খাবার নষ্ট কিংবা গন্ধ হয়ে না যায়।
৪. তরিতরকারি, সবজি এসব অনেক দিন সবজির বাক্সে রাখলে গন্ধ হয়ে যায়। তাই এক দিনের বেশি কোনো খাবার রেফ্রিজারেটরে রাখা যাবে না।
৫. রেফ্রিজারেটরে রাখা খাবার দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যদি প্রয়োজনের চেয়ে বেশিবার দরজা খোলা কিংবা বন্ধ করা হয়।
৬. ওভেনে খাবার গরম করার সময় অবশ্যই ঢাকনাসহ বাটি ব্যবহার করতে হবে।
৭. খাবার গরম করার পর কিছুক্ষণ ওভেনের দরজা খুলে বাতাস ঢুকতে দিতে হবে।
৮. ওভেনের ভেতরে যদি গন্ধ হয়ে যায়, মাঝেমধ্যে তরল ডিটারজেন্ট, ভিমবার, কিংবা সাবান মেখে পরিষ্কার কাপড় বা ছোট ডাস্টার দিয়ে সাফ করতে হবে।
৯. রান্নাঘর গন্ধ হওয়ার কারণ প্রথমে বের করতে হবে। সমস্যা বুঝে এর সমাধান করতে হবে। অনেক সময় রান্নাঘরে পোকামাকড় মরে থাকে। মাছের আঁশের গন্ধ, তরিতরকারির ময়লা ঠিকমতো পরিষ্কার না করা—এসব কারণে রান্নাঘর থেকে দুর্গন্ধ আসতে পারে।
১০. রান্নাঘরে তরিতরকারি কিংবা খাবারের ময়লা নির্দিষ্ট ঝুড়িতে রাখতে হবে। প্রতিদিন ময়লার ঝুড়ি পরিষ্কার করতে হবে।
১১. রান্নাঘরের যে সিংক রয়েছে তাতে এঁটো থালাবাসন খাবারের পর ধুয়ে ফেলতে হবে। মাছ, মাংস কাটার পর সাবান দিয়ে সিংক পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
১২. তরিতরকারি, মাছ, মাংস, ফলমূলের খোসা—এসব কাটার পর ময়লা রান্নাঘরের মেঝেতে ফেলে রাখলে পচে গন্ধ বের হতে পারে। সে জন্য ময়লার ঝুড়িতে ফেলতে হবে।
১৩. রান্নার পরপর অবশ্যই চুলার ওপর, চুলার আশপাশ সাবান বা ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
১৪. রান্নাঘর টাইলস, মোজাইক, সিমেন্ট যেটারই তৈরি হোক না কেন, কয়েক দিন পরপর সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে।
১৫. ওভেনে খাবার গরম করার পর শুকনো পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
১৬. ওভেনের ভেতরে যে গ্রিল রয়েছে সেগুলো মাঝেমধ্যে বের করে শুকনো নরম পরিষ্কার কাপড়, ছোট তোয়ালে বা নরম ডাস্টার দিয়ে পরিষ্কার করে মুছে রাখতে হবে।
১৭. রাইস কুকারে পোলাও, খিচুড়ি—এসব রান্নার পর তেলচিটচিটে হয়ে থাকে। ফলে গন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ জন্য মাঝেমধ্যেই সাবান, পানি কিংবা ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ভাত রান্না করার পরপরই ধুয়ে ফেলতে হবে রাইস কুকার।
১৮. শরবত করার জন্য যেসব জুসার, ব্লেন্ডার ব্যবহার করা হয়, সেগুলো ব্যবহারের পরপরই সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে বাতাসে শুকিয়ে রাখতে হবে। না হলে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

যা করতে হবে
১. রেফ্রিজারেটরের গন্ধ দূর করার জন্য লেবু গোল করে বা পাতলা করে কেটে রেখে দেওয়া যেতে পারে।
২. মাসে অন্তত একবার রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করতে হবে।
৩. রান্নাঘর বদ্ধ অবস্থায় রাখলে গন্ধ আসতে পারে। মসলা, থালাবাসন থেকে এবং পানি পড়ে সেটা জমে দুর্গন্ধ হয়ে যায়। এ জন্য রান্নাঘরের জানালা-দরজা খুলে বাতাস যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

- Sent using Google Toolbar"

বাড়ি তৈরিতে ঋণ

"নিজের পরিবারের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য ছোট্ট একটি প্লট কেনার স্বপ্ন থাকে অনেকের। আর ওই প্লট কিনে তাতে সুন্দর ও মনের মতো করে বাড়ি তৈরির ইচ্ছাও থাকে। আপনার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তাদানে এগিয়ে এসেছে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

জেনে নিন
বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো গৃহঋণ দিয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি গৃহঋণ দেয় না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে এই ঋণ দিয়ে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি এ খাতে গ্রাহকদের এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার আদেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন
বাংলাদেশের যেকোনো সুস্থ নাগরিক, যাঁর নির্দিষ্ট আয় আছে, তিনি গৃহঋণ পেতে পারেন। রাজউক অনুমোদিত নকশার ওপর ভিত্তি করে প্রকৌশলী যে আনুমানিক হিসাব দেবেন, তার ৮০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় ঋণের পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা। এর বাইরে অন্যান্য এলাকায় ১৫ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার জন্য এই ঋণের পরিমাণ ৫০ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানায় ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রামে সুদের হার ১২ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকার সুদের হার ১০ শতাংশ এবং ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ১৫ বছর। প্রতি মাসের কিস্তিতে সরল সুদে এই টাকা পরিশোধ করতে হয়।

ডিবিএইচ
ঋণের কোনো নির্দিষ্ট পরিমাণ নেই। সম্পত্তির পরিমাণ, ঋণ পরিশোধের সামর্থ্যের ওপর ভিত্তি করে ঋণ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ করতে হবে ২০ বছরের মধ্যে। সুদের হার নয় থেকে ১৬ শতাংশ।

আইডিএলসি
গ্রাহকের সম্পদের পরিমাণের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গৃহঋণ দিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠান। সুদের হার ১৩ থেকে ১৪ শতাংশ। পরিশোধের সময়কাল ২০ বছর। প্রবাসীদেরও এ ঋণের সুবিধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীদের আয় ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা হলে, তিনি এ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হন।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক
সাধারণত যাঁদের আয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, তাদের এই ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া হয়। ঋণের পরিমাণ দুই থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সুদের হার ১৩ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময় ১৫ বছর। বাড়ি নির্মাণ খরচের ৭০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছর হতে হবে। প্রসেসিং ফি ঋণের পরিমাণের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।

প্রাইম ব্যাংক
সম্পত্তির মূল্যের ওপর ৭০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়। ঋণের পরিমাণ পাঁচ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সুদের হার ১৩ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ১০ বছর। ভ্যাটসহ সার্ভিসচার্জ রয়েছে।

ইস্টার্ন ব্যাংক
ঋণের পরিমাণ পাঁচ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। ঋণগ্রহীতার মাসিক গড় আয়ের ৫০ গুণ পরিমাণ ঋণ দেওয়া হয়। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা তিন থেকে ২০ বছর। ঋণগ্রহীতাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং তার বয়সসীমা ২২ থেকে ৫৭ বছর। ঋণের পরিমাণ পাঁচ থেকে ১৫ লাখ টাকা হলে সুদের পরিমাণ ১৪ থেকে ১৫ শতাংশ। ঋণগ্রহীতার সম্পত্তির পরিমাণের ৮০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়।

ঢাকা ব্যাংক
চাকরিজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, যাঁদের আয় ন্যূনতম ৪০ হাজার টাকা, তারা ঋণ পাওয়ার যোগ্য। সম্পত্তির মূল্যের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। পাঁচ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হয়। ঋণের পরিমাণ পাঁচ থেকে ৭৫ লাখ টাকা। সুদের হার ১২ থেকে ১৩ শতাংশ। প্রসেসিং ফি ১ দশমিক ২৫ থেকে ১ দশমিক ৫ শতাংশ ।

এইচএসবিসি ব্যাংক
ঋণগ্রহীতার রেজিস্ট্রেশন খরচসহ সম্পত্তির ক্রয়মূল্যের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ গৃহঋণ দেওয়া হয়। ঋণের পরিমাণ সাত লাখ ৫০ হাজার থেকে ৭৫ লাখ টাকা। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা পাঁচ থেকে ২০ বছর। সুদের হার ৯ শতাংশ। ঋণগ্রহীতা চাকরিজীবী হলে তাঁর ন্যূনতম আয় ৪০ হাজার এবং নিজস্ব প্রতিষ্ঠান আছে, এমন কেউ বা ব্যবসায়ী হলে তাঁর আয় ৫০ হাজার টাকা হতে হবে। এ ব্যাংকে চলছে ‘বৈশাখী অফার’। এই বছরের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এ অফার। এতে সুদের হার ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক
এ ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে হলে ঋণগ্রহীতাকে চাকরিজীবী, পেশাজীবী বা ব্যবসায়ী হতে হবে এবং তাঁদের মাসিক আয় হতে হবে ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা। ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর। ঋণগ্রহীতার সম্পত্তির পরিমাণের ৮০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়। মোট ঋণের পরিমাণ ৭৫ লাখ টাকা। সুদের হার ১২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রসেসিং ফি ঋণের পরিমাণের ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রযোজ্য। ঋণ পরিশোধের সময় ২০ বছর।

- Sent using Google Toolbar"

ভিন্ন স্বাদের মিষ্টান্ন

প্রথম আলো - ভিন্ন স্বাদের মিষ্টান্ন: "হালুয়ার পাশাপাশি একটু ভিন্ন স্বাদের মিষ্টান্ন খেতে পছন্দ করেন অনেকে। দেখে নিন শাহানা পারভীনের দেওয়া মিষ্টান্নের রন্ধনপ্রণালি।

চকলেট পেস্তা বরফি
উপকরণ: বেসন ১ কাপ, গুঁড়ো দুধ ১ কাপ, কোকো পাউডার ২ টেবিল-চামচ, ঘি আধা কাপ, গলানো চকলেট আধা কাপ, পেস্তা কুচি ২ টেবিল-চামচ, চিনি ১ কাপ, ভ্যানিলা এসেন্স ১ থেকে ২ ফোঁটা।
প্রণালি: কড়াইয়ে ঘি দিয়ে তাতে বেসন হালকা করে ভেজে নিতে হবে। কুসুম গরম পানিতে গুঁড়ো দুধ গুলে তাতে কোকো পাউডার দিন। আস্তে আস্তে তা ভাজা বেসনে মিশিয়ে দিন। চিনি দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে। ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে মিশ্রণটি ঘন হলে নামিয়ে ট্রেতে ঢালতে হবে। পছন্দমতো আকারে কেটে গলানো চকলেটে ডুবিয়ে পেস্তা কুচির সঙ্গে মেখে পরিবেশন করা যায়।

ত্রিমোহন হালুয়া
উপকরণ: ঘন দুধ ৩ কাপ, ঘি ১ কাপ, চিনি ৩ কাপ, বাদাম কুচি ৩ চা-চামচ, কিশমিশ ১ টেবিল-চামচ, এলাচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, দারুচিনি ৪-৫ টুকরো, সেমাই ৪ টেবিল-চামচ, সুজি ৩ টেবিল-চামচ, কাঁচা পেঁপে কুচি করা ১ কাপ, জাফরান সামান্য, সবুজ রং সামান্য।
প্রণালি: কড়াইয়ে ২ টেবিল-চামচ ঘি দিয়ে পেঁপে একটু ভেজে নিতে হবে। ভাজা হলে তাতে দুধ, চিনি, সবুজ রং, এলাচ গুঁড়ো, দারচিনি, বাদাম কুচি দিয়ে নাড়তে হবে। মিশ্রণটি ঘন হলে নামিয়ে নিতে হবে।
কড়াইয়ে ২ চা-চামচ ঘি দিয়ে সুজি নাড়তে হবে। জাফরান-মিশ্রিত দুধ, চিনি, এলাচ গুঁড়ো দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে। কিশমিশ দিয়ে নামিয়ে প্লেটে ঘি লাগিয়ে তাতে হালুয়া ঢেলে সমান করে দিতে হবে।
সেমাই ঘি দিয়ে ভেজে তাতে দুধ, চিনি, এলাচ গুঁড়ো, দারচিনি, বাদাম কুচি দিয়ে নাড়তে হবে। সেমাই হয়ে এলে সুজির স্তরের ওপর সেমাইয়ের স্তর দিয়ে আবার সমান করে দিতে হবে। সবশেষে পেঁপের স্তর দিয়ে সমান করে সাজিয়ে রাখতে হবে ঠান্ডা জায়গায়। পছন্দমতো কেটে পরিবেশন করতে হবে।

নারকেলের মালাই বরফি
উপকরণ: নারকেল বাটা ২ কাপ, সরসহ ঘন দুধ ১ কাপ, সুজি ২ টেবিল-চামচ, ঘি আধা কাপ, চিনি ১ কাপ, এলাচ গুঁড়ো ২টি, বাদাম কুচি ১ চা চামচ, কিশমিশ ১ চা চামচ।
প্রণালি: কড়াইয়ে ঘি দিয়ে সুজি ভেজে নিতে হবে। তারপর নারকেল বাটা দিয়ে আবার কিছুক্ষণ ভাজতে হবে। ভাজা হলে দুধ, চিনি, বাদাম কুচি, কিশমিশ দিয়ে অনবরত নাড়তে হবে। হালুয়া ঘন আঠালো হলে এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে প্লেটে ঘি দিয়ে ইচ্ছামতো আকারে কেটে ওপরে বাদাম, কিশমিশ দিয়ে পরিবেশন করা যায়।

ক্রিম পুডিং
উপকরণ: ঘন দুধ ২ কাপ, চিনি ১ কাপ, মুরগির ডিম ৪টি, এলাচ গুঁড়ো ২টি, ক্রিম ২ টেবিল-চামচ।
প্রণালি: ১ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে অর্ধেক করে নিতে হবে। ডিমের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে দুধ, ডিম, চিনি, এলাচ গুঁড়ো ও ক্রিম ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। চিনি দিয়ে ক্যারামেল করা পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে পাত্রের মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ভাপে সেদ্ধ অথবা প্রেসার কুকারে পানি দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ভাপে রাখতে হবে। পুডিং নিজে থেকে ঠান্ডা হতে দিতে হবে। ছুরি দিয়ে ছাঁচের চারপাশে ঘুরিয়ে কেটে নিতে হবে। প্লেট ছাঁচের মুখে চেপে ধরে উল্টে দিতে হবে। ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হলে পরিবেশন করা যায় মজাদার ক্রিম পুডিং।

- Sent using Google Toolbar"

নানা স্বাদের হালুয়া

নানা স্বাদের হালুয়া: "শবে বরাতের রাতে হালুয়া তো খাওয়া হবেই। দেখে নিন সিতারা ফিরদৌসের দেওয়া নানা স্বাদের হালুয়ার রন্ধনপ্রণালি।

ছোলার ডালের ক্ষীরশাপাতি
উপকরণ: ছোলার ডাল ২ কাপ, চিনি ৪ কাপ, দুধের ক্ষীরশা ১ কাপ, তরল দুধ ১ লিটার, ঘি ১ কাপ, এলাচ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, দারচিনি ৪ টুকরা, পেস্তাবাদাম কুচি সিকি কাপ, কাজুবাদাম বাটা ২ টেবিল-চামচ। আমন্ড বাদাম বাটা ২ টেবিল-চামচ, ডিম ২টি, গোলাপ এসেন্স সামান্য।
প্রণালি: ডাল ধুয়ে তাতে দুধ দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে গেলে বাটতে হবে এবং চিনি ও ডিম দিয়ে মাখাতে হবে। চুলায় আধা কাপ ঘি গরম করে ডাল বাটা দিয়ে নাড়তে হবে। এরপর এলাচ গুঁড়ো ও গোলাপ এসেন্স দিতে হবে। হালুয়া জমাট বেঁধে এলে ক্ষীরশা, কাজুবাদাম বাটা, আমন্ড বাদাম বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ঘি মাখানো ডিশে ঢেলে ওপরে পেস্তাবাদাম কুচি ছিটিয়ে ইচ্ছেমতো কেটে পরিবেশন।

গাজরের দরবারি হালুয়া
উপকরণ: গাজর কোরানো ২ কাপ, দুধ ৩ লিটার, ঘি ৪ টেবিল-চামচ, মালাই ১ কাপ, লাচ্ছা সেমাই ১ কাপ, চিনি ৪ কাপ, এলাচ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, জাফরান আধা চা-চামচ, গোলাপ এসেন্স সামান্য, কিশমিশ ও পেস্তাবাদাম কুচি পরিমাণমতো।
প্রণালি: গোলাপ এসেন্স ও জাফরান ২ টেবিল-চামচ দুধে ভিজিয়ে রাখতে হবে। গাজর ১ লিটার দুধে জ্বাল দিয়ে সেদ্ধ করে শুকিয়ে নিয়ে ঘি দিয়ে ভেজে রাখতে হবে। ২ লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করে ১ লিটার করে চিনি দিতে হবে এবং ফুটে উঠলে ঘিয়ে ভাজা সেদ্ধ গাজর, লাচ্ছা সেমাই ও এলাচ গুঁড়ো দিয়ে নাড়তে হবে। ঘন হয়ে এলে দুধে ভেজানো জাফরান, কিশমিশ, পেস্তাবাদাম কুচি ও মালাই দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে ওপরে পেস্তাবাদাম, কিশমিশ ছিটিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

সুজির মণ্ডা
উপকরণ: সুজি আধা কাপ, ছানা আধা কাপ, মাওয়া ২ কাপ, ঘি আধা কাপ, চিনি ২ কাপ, এলাচ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, গোলাপ এসেন্স সামান্য, পেস্তাবাদাম কুচি ২ টেবিল-চামচ, খেজুর বাটা ২ টেবিল-চামচ।
প্রণালি: ২ টেবিল-চামচ ঘি দিয়ে সুজি বাদামি করে ভেজে নিতে হবে। ছানা হাত দিয়ে মথে সুজির সঙ্গে মাখিয়ে ২ টেবিল-চামচ ঘি দিয়ে জ্বাল দিতে হবে ও চিনি দিতে হবে। চিনি গলে গেলে এলাচ গুঁড়ো, গোলাপ এসেন্স ও খেজুর বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে মাওয়া ও বাকি ঘি দিয়ে অল্প কিছুক্ষণ নাড়তে হবে।
ডিশে ঘি মাখিয়ে মণ্ডা ঢেলে পেস্তাবাদাম কুচি ছিটিয়ে পছন্দমতো কেটে নিতে হবে।

বাদামের হালুয়া
উপকরণ: ভাজা চিনাবাদাম বাটা আধা কাপ, মাওয়া ২ কাপ, কাজুবাদাম বাটা সিকি কাপ, ঘি ৪ টেবিল-চামচ, জায়ফল গুঁড়ো সিকি চা-চামচ, এলাচ গুঁড়ো আধা চা-চামচ, কাজুবাদাম কুচি আধা কাপ, কিশমিশ ২ টেবিল-চামচ।
প্রণালি: ঘি গরম করে সব বাদাম বাটা, জায়ফল গুঁড়ো, এলাচ গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ ভুনে চিনি দিয়ে নাড়তে হবে এবং অর্ধেকটা মাওয়া গুঁড়ো দিতে হবে। হালুয়া কড়াইয়ের গা ছেড়ে এলে কিশমিশ, কাজুবাদাম কুচি দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে বাকি মাওয়া মিশিয়ে ঘি মাখানো ডিশে ঢেলে ঠান্ডা হলে পছন্দমতো কেটে প

গরমের আরামের পোশাক

গরমের আরামের পোশাক: "এখন সকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। নানা কাজে ছুটতে হয় ঘরের বাইরে। প্রচণ্ড গরমে একদিকে যেমন চারপাশের সবকিছুতে অস্থির লাগে তেমনি ঘেমে নেয়ে একাকার হয় পুরো শরীর। এই প্রচণ্ড গরম থেকে ছেলেদের কিছুটা রেহাই পেতে তাই নজর দিতে হবে নিত্যদিনের পোশাকের দিকে। কেমন পোশাক পরলে গরম কম লাগবে এবং পোশাকে কী কী বৈশিষ্ট্য থাকবে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ বিষয়ে ফ্যাশন ডিজাইনার এমদাদ হক জানালেন, এই গরমে অবশ্যই কৃত্রিম এসব পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পরলে একদিক থেকে যেমন গরম কম লাগবে অন্যদিকে আরামও লাগবে। ফলে স্বচ্ছন্দে কাজ করা যাবে। পাতলা তাঁত ও খাদি কাপড়ের পোশাকও এ সময় পরা যায়। এসব কাপড়ের মধ্যে খাটো হাতা কলারওয়ালা শার্ট পরতে পারেন। এ ছাড়া ব্যান্ড কলার হাফহাতা শার্টের চলটাও এখন বেশ জনপ্রিয়। অনেকে আবার শার্টের পরিবর্তে ফতুয়াও পরছেন।
গরমের এই দিনগুলোতে ফতুয়া হাফহাতা হলেই সবচেয়ে ভালো। হালকা সুতি কাপড়ের ফতুয়া মধ্যবয়সী বা তার অধিক বয়সের মানুষের জন্যই বেশি মানানসই। শার্ট বা ফতুয়ায় হালকা ব্লক কিংবা বাটিকের কাজ থাকতে পারে। ভারী কোনো কাজ থাকলে তাতে গরমটা একটু বেশিই লাগবে। ঘরের বাইরে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও এ ধরনের পোশাক দারুণ আরামদায়ক। এখনকার তরুণদের একটি বড় অংশ গরমে টি-শার্ট পরতে স্বচ্ছন্দ বোধ করে। ফ্যাশন হাউস পঙিক্তর স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল আমিন জানান, গরমের সময় শুধু তরুণেরা নয়, সব বয়সের মানুষই টি-শার্ট পরে। তাই এ সময়ে টি-শার্টের চাহিদা বেড়ে যায় অনেক বেশি। এমদাদ হক জানান, টি-শার্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, তার রং যেন কোনোভাবে কড়া না হয়। কেননা কড়া রঙে সূর্যের তাপ খুব বেশি লাগে বলে গরম অনুভবটা বেশি মনে হয়। গরমে অনেকেই জিনসের প্যান্ট পরে, কিন্তু এই দিনগুলোতে এসব পোশাক এড়িয়ে গিয়ে সুতি কাপড়ের প্যান্ট পরতে পারেন। আজকাল অনেকেই এসব প্যান্ট পরছে গরম এড়ানোর জন্য। আর জিনসের প্যান্ট যদি পরতেই চান, তাহলে পাতলা জিনসের প্যান্ট পরলে গরম কম লাগবে। গরমে দিনের বেলা কালো পোশাক এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ কালো রং বেশি তাপ শোষণ করে বলে এসব পোশাক পরলে গরম বেশি লাগে। আবার বেশি উজ্জ্বল রঙের পোশাকেও তাপ লাগে বেশি। তাই এ সময় পোশাক ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর রং গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। এই দিনগুলোতে অতিরিক্ত গরমের কারণে অনেকের মোজা ঘেমে যায়। এ জন্য সুতি মোজা পরাই শ্রেয়। আর মোজা ব্যবহারের আগে পায়ে খানিকটা ট্যালকম পাউডার লাগিয়ে নিলে একদিক থেকে যেমন পা কম ঘামবে, অন্যদিকে পায়ের দুর্গন্ধ কমে আসবে। যেহেতু এখনকার দিনে শরীর বেশি ঘামে, তাই বাইরে বের হওয়ার আগে শরীরে বডি স্প্রে

ছেলেদের চুল যখন যেমন

প্রথম আলো প্রথম আলো - ছেলেদের চুল যখন যেমন: "বর্তমান সময়ের তরুণদের চুলের নানা ছাট-কাট দেখা যায়। আবার হেয়ার স্টাইল কেমন হবে তা নিয়েও ভাবনার যেন শেষ নেই।শুধু সময়ের সঙ্গে তাল মেলালেই চলবে না; মুখের আকার, চুলের ধরন বুঝে বেছে নিতে হবে মানানসই হেয়ার স্টাইল। হেয়ারোবিক্সের হেড অব অপারেশনস তানজিমা শারমীন জানালেন এ সময়ে ছেলেদের চুলের স্টাইলের খুঁটিনাটি।

মেসির মতো
সামনেই বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনার ফুটবলার মেসির মতো করে চুলের স্টাইল করতে চান অনেকেই। একটু লম্বা, এলোমেলো—এ ধরনের চুলের স্টাইলের নামই হয়ে গেছে ‘মেসি লুক।’ কয়েক রকম চুলের স্টাইলে মেসি লুক ভালো লাগে, যেমন—মোহক, লেয়ারড, চপি ইত্যাদি। চুলে রং করিয়ে মেসি লুক আরও আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা যায়।

ঢেউ খেলানো
চুলে একটু ঢেউ খেলানো যেতে পারে। এটি করাও বেশ সহজ। ওয়েভি হেয়ার স্টাইলে চুল অনেক ঘন দেখায়।

ক্ল্যাসিক ট্যাপার
ক্ল্যাসিক ট্যাপার হেয়ার স্টাইল নিতে হলে থাকতে হবে মাঝারি লম্বা চুল। এই স্টাইল করতে মাথার পেছনে ও কানের ওপরের চুল খাটো করে কাটা হয়। কিন্তু কপালের চুল রাখা হয় লম্বা, যাতে চুলগুলো কপালের ওপর ছড়িয়ে রাখা যায় অথবা ব্যাক ব্রাশ করা যায়।

ইমো
এর জন্য মাঝারি লম্বা চুল থাকা প্রয়োজন। ইমো স্টাইল করতে অনেকটা এলেমেলোভাবে চুল কাটা হয়। কিন্তু সামনের চুল বড় রাখা হয়। আর মাথার পেছনের চুল স্পাইক স্টাইলে ছোট রাখা হয়। সামনে এবং কানের পাশের বড় চুলগুলো মুখমণ্ডলের ওপর প্রায় ছেয়ে থাকে। এটিকে ‘ইমো সুইপ’ বলে। অল্প বয়সীদের মধ্যে এমন চুল বেশ জনপ্রিয়।

ছোট চুলের স্টাইল
একদমই ছোট চুল রাখতে চান যাঁরা তাদের জন্য আছে ক্রু কাট, ক্ল্যাসিক কাট, স্পাইক হেয়ার স্টাইল ইত্যাদি। ক্রু কাটের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মাথার পেছনের ও পাশের চুল খুব ছোট করে ছাঁটা হয়, কিন্তু ওপরের চুলগুলো ক্রমান্বয়ে কিছুটা বড় ও খাড়া করে রাখা হয়। ক্রু-কাট পরিচর্যা করা খুব সহজ। সাধারণত ক্রু-কাট দুই রকম হয়ে থাকে—এক্সট্রা শর্ট এবং হাই অ্যান্ড টাইট। ক্ল্যাসিক কাটে মাথার একপাশে সিঁথি করে চুল আঁচড়ানো হয়। চুলের দৈর্ঘ্য কতখানি হবে তা নির্ভর করে ব্যক্তিত্বের ওপর। আনুষ্ঠানিক পোশাকের সঙ্গে এই চুলের স্টাইল বেশ মানানসই। স্পাইক হেয়ার স্টাইল অপেক্ষাকৃত কম বয়সীদের মধ্যে জনপ্রিয়। হেয়ার জেল ব্যবহার করে সামনের দিকের চুলগুলো একটু খাড়া করে রাখা হয়।

লম্বা চুলের নানা স্টাইল
ঘন লম্বা চুলের হেয়ার স্টাইল: মাথার চুল লম্বা থাকলে তা বিভিন্নভাবে স্টাইল করে রাখা যায়। দুই কাঁধের ওপর ছড়িয়ে রাখা যায়। চুলের ধরন সোজা অথবা কোঁকড়া যা-ই হোক, পনিটেল করে রাখলেও সুন্দর লাগে। আবার কিছুটা চুল খোলা রেখে অল্প চুল নিয়ে এলোমেলো ঝুঁটিও করা যায়।

পাতলা চুল যাঁদের
মাথার চুল ঘন না হলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। একটু ভেবেচিন্তে চুলের স্টাইলটি নিতে হবে, আর তা পরিচর্যা করতে হবে। পাতলা চুল যাঁদের, অবশ্যই তাঁরা ছোট চুলের হেয়ার স্টাইল নেবেন।

- Sent using Google Toolbar"

রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০১০

জমি কেনার আগে যাচাই করে নিন

"সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জমি কিনবেন। জমি কেনার আগেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখে নিতে ভুলবেন না। জমি কেনার সময় কী কী কাগজপত্র যাচাই করে জমি কিনবেন জানাচ্ছেন প্রপার্টি প্লাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এডভোকেট অসীম পাল
১. সিএস খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপি
২. এসএ খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপি
৩. আরএস খতিয়ানের সার্টিফায়েড কপি
৪. আরএস মিউটেশনের সার্টিফায়েড কপি
৫. মূল দলিল, বায়া দলিল/পিঠ দলিল
৬. খাজনা হালনাগাদ
৭. দায়মুক্তি সনদ,
৮. আপস বণ্টননামা
৯. মহানগর মাপ জরিপ (গ্রামে ইউনিয়ন মাপ জরিপ)

- Sent using Google Toolbar"

বেসিনের রকমফের

"স্নানঘর এবং খাবারঘরে বেসিন প্রয়োজনীয় উপকরণ। এটা ছাড়া একটি পরিপূর্ণ বাথরুম কল্পনা করা যায় না। আজকের আলোচনায় আমরা বেসিন এরিয়ার ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের খুঁটিনাটি নিয়ে কথা বলব।
আমরা বাথরুম বেসিন এবং ডাইনিং বেসিন নিয়েই বেশি পরিচিত। এ ছাড়া ছোটখাটো জায়গায় কর্নার বেসিন এবং বারান্দায় সবার ব্যবহারের জন্য বারান্দা বেসিনও আজকাল ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বেসিন আবার 'ট্র্যাডিশনাল' বেটার পাইপ দেখা যায়, 'প্যাডেস্টাল' (বেটার পাইপ একটি স্ট্যান্ড দ্বারা ঢাকা থাকে) এবং কেবিনেট (যেটার নিচে একটা স্টোরেজ থাকে) ধরনের হয়ে থাকে। বেসিনের সঙ্গে আনুষঙ্গিক কিছু উপকরণ বেসিনসঙ্গী হিসেবে থাকতে হবে। যেমন সোপকেস, মিরর, মিরর স্ট্যান্ড, বিবকক্ (কল হিসেবে সুপরিচিত), বেসিন মিক্সার ইত্যাদি।
আর এসব উপকরণের সঠিক কম্বিনেশন করেই বেসিন এরিয়ার সুন্দর ডেকোরেশন করা যায়। এ ছাড়া বেসিন এরিয়ার টাইলস ও বেসিন ডেকোরেশনে দারুণ ভূমিকা পালন করে। বেসিনের রঙের সঙ্গে মিল রেখে বা কন্ট্রাস্ট করে বেসিন এরিয়ার জায়গাটুকু অনেক আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। আবার বেসিনের আকারের সঙ্গে মিল রেখে বেসিন মিরর ব্যবহার করাও একটা বেসিন সাজানোর উপাদান হিসেবে কাজ করে। গোল ডিম্বোকার অথবা চৌকোনা আয়না বেসিনের আকার এর সঙ্গে মিল রেখে বসানোটা অনেক বুদ্ধিমানের কাজ। বেসিন এরিয়ার সাজসজ্জার মধ্যে বেসিন লাইট উল্লেখযোগ্য। সাধারণত মিররের ওপর মিরর স্ট্যান্ড লাইট লাগানো একটা কমন ট্র্যাডিশন।
এ ছাড়া মিররের দুই পাশে ডেকোরেটিভ লাইট শেড অথবা 'বেসিন স্পটলাইট' দিয়েও বেসিন এরিয়াকে অনেক আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।
এবারে বেসিন এরিয়ার কিছু মাপজোক নিয়ে কিছু কথা বলা যাক। যেমন- সাধারণত বেসিন লাগানো হয়ে থাকে তিন ফুট উচ্চতায়। তারও ১ দশমিক ৫ ফুট উচ্চতায় অর্থাৎ ফোর থেকে ৪ দশমিক ৫ ফুট উচ্চতায় লাগাতে হয় বেসিন মিরর এবং এর মাঝামাঝিতে বেসিন স্ট্যান্ড বা মিরর স্ট্যান্ড।
ডাইনিং বেসিন সাধারণত একটু ডেকোরেটিভ হয়ে থাকে। আজকাল স্বচ্ছ কাচের অনেক সুন্দর ডিজাইনের ডাইনিং বেসিন বাজারে পাওয়া যায়; তবে সাধারণত বেসিন সিরামিকের তৈরি হয়ে থাকে। অল্প স্পেস অথবা কর্নার স্পেসের বাথরুম বা ডাইনিং এরিয়ায় 'কর্নার বেসিন' বসানো যেতে পারে, যা উপযোগী।
বেসিনের সৌন্দর্য্য তখনই বেশি ফুটে উঠবে, যখন এর চারপাশে সবুজের স্পর্শ থাকবে। ছোট ছোট ফুলের টব ও অন্যান্য প্লান্টেশন নিয়ে বেসিন এরিয়াকে অনেক ডেকোরেটিভ করে তোলা সম্ভব। তবে বেসিন এরিয়ার পরিচর্যা করাই হচ্ছে এর সবচেয়ে বড় পরিচায়ক। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সাজসজ্জা সুন্দর বেসিন এরিয়া ডেকোরেশন ও ডিজাইন করে হিসেবে আপনিও উদ্ভাসিত হোন।
বেসিনের টিপস
* বেসিনের রং পছন্দের েেত্র দেয়ালের রংয়ের কথা বিবেচনা করবেন।
* বাথরুমে বেসিনের পেছনের দেয়ালে অন্য রংয়ের টাইলস ব্যবহার করতে পারেন।
* বেসিন সব সময় পরিষ্কার রাখুন।
* বাথরুম বা ডাইনিং খুব বেশি ছোট হলে কর্নার বেসিন নামের ছোট্ট বেসিন ব্যবহার করতে পারেন।

- Sent using Google Toolbar"

হরেক রকম সালাদ

"শীতে বাজারে নানা সবজি পাওয়া যাচ্ছে। এসব সবজি দিয়ে তৈরি করা যায় নানারকম সালাদ। ভাত, খিচুড়ি, পোলাও, নানরুটি আর পরোটার সঙ্গে খেতে পারেন সালাদ । আপনাদের জন্য সালাদের রেসিপি দিয়েছেন ধানমণ্ডির প্রতিতী রহমান; ছবি কাকলী প্রধান
কাজু বাদামের সালাদ
উপকরণ : মুরগির মাংসের কুচি ১ কাপ, ডিমের মেয়নেজ আধা কাপ, কাঁচা পেঁপে কুচি ২ কাপ, কাজু বাদাম আধা কাপ, লেটুস পাতা ২টি, বাটার ২ টেবিল চামচ, কাঁচামরিচ ৩টি, গাজর ২টি ও ব্রকলি ৩টি ও লবন।
যেভাবে তৈরি করবেন :
১. বয়েল করা মুরগির বুকের অংশ থেকে মাংসগুলো লম্বা লম্বা করে ছাড়িয়ে নিন।
২. জুলিয়ান কুচি করে কাটুন। বাটারে মুরগির মাংস লবন দিয়ে ভেজে নিন।
৩. কাঁচা পেঁপে কুচি করে কেটে নিন। কাঁচামরিচও কুচি করে কাটুন।
৪. এবার মুরগির মাংসের কুচি, পেঁয়াজ কুচি, মেয়নেজ, পেঁপে কুচি, কাজু বাদাম ও ব্রকলি একত্রে মিশিয়ে পরিবেশন করুন কাজু বাদাম সালাদ।

ডিম সবজির সালাদ
উপকরণ : আলু সিদ্ধ ১ কাপ, টমেটো সিদ্ধ আধা কাপ, ফুলকপি ভাপানো আধা কাপ, বাঁধাকপি আধা কাপ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, টমেটো সস ১ টেবিল চামচ, মেয়নেজ ১ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ, ডিম সিদ্ধ ৩টি।
যেভাবে তৈরি করবেন :
১. প্রথমে পাত্রে আলু ও ডিম সিদ্ধ, টমেটোর ম্যাশ, ফুলকপি বাঁধাকপি, টমেটোর সস, মেয়নিজ নিন।
২. এক সঙ্গে মিশিয়ে সালাদ তৈরি করুন।
৩. এবার একটি পাত্রে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।


মিশ্র ভেজিটেবল সালাদ

উপকরণ : বাঁধাকপি কুচি আধা কাপ, ফুলকপি কুচি আধা কাপ, পাকা টমেটা স্লাইস ১টি, টক দই আধা কাপ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, মুলা আধা কাপ, বেবি কর্ন ৪টি, মাঝারি আকারের চিংড়ি ৮টি ও লবন।
যেভাবে তৈরি করবেন :
১. প্রথমে সব সবজি আলাদাভাবে হালকা সিদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ করার সময় লবন দিন।
২. চিংড়ি মাছও সিদ্ধ করে নিন।
৩. এবার সালাদ রাখার পাত্রে সিদ্ধ সব সবজি মিশিয়ে ফেলুন।
৪.মেশানো সবজির মধ্যে চিংড়ি মাছ মিশিয়ে দিন।
৫. সালাদের ওপরে টক দই পাকা টমেটো স্লাইস দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

রসুন ধনেপাতা সালাদ
উপকরণ : ধনেপাতা কুচি ১ কাপ, রসুন কুচি মাঝারি আকারের ২টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, শুকনো মরিচ ৪টি, সরিষার তেল ৩ টেবিল চামচ ও লবণ পরিমাণমতো।
যেভাবে তৈরি করবেন :
১. ধনে পাতা কুচি ও রসুন কুচি একসঙ্গে মেখে নিন।
২. সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি ও শুকনো মরিচ কুচি করে মিশিয়ে দিন।
৩. পরিবেশনের আগে সরিষার তেল ও লবন মিশিয়ে নিন।

- Sent using Google Toolbar"

পছন্দের জিন্স

"ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে জিন্সের কদর এখন সর্বত্র। এই শীতে স্কিনি জিন্সের চাহিদা তো আকাশচুম্বী। সফট ডেনিমে লাইক্রো মেশানো থাকায় স্কিনি হলেও আরামের ঘাটতি হয় না।
রকমারি : ফ্যাশনের দুনিয়ায় নানা নামের আর ঢঙের জিন্স চলছে। প্রথম পছন্দ স্কিনি জিন্স। কোমর থেকে পা পর্যন্ত পুরোটা একেবারে গায়ের সঙ্গে মিশে যায়। এরপর আছে ক্যাপ্রি চুড়িদার সালোয়ারের মতো অ্যাঙ্কেলের কাছে জমে থাকে। বুটকাট জিন্সের নিচের অংশ একটু ছড়ানো; অপর অংশ স্কিনি জিন্সের মতো। ব্যাগি জিন্সও চলছে, কারণ নিচের অংশটা একটু চাপা হওয়ায় শীতের হাওয়া কম জ্বালাতে পারে। হাঁটুর কাছে কুঁচকানো জিন্সটা হলো ক্রেপ জিন্স। এ ছাড়া লুজ জিন্স, রিলাক্সড জিন্স, স্ট্রেইট জিন্স তো চলছেই। তবে কথা হলো, জিনস যেটাই হোক না কেন, মেয়েদের সব জিন্সই মোটামুটি শর্ট রাইজ এবং শর্ট জিপারের। আর তা পরা হচ্ছে কোমরের হাড়ের ওপর। হাই ওয়েস্ট কাটের জিন্সকে এখন 'মম জিন্স' বলে ক্রিটিসাইজ করা হচ্ছে।
রঙের বৈচিত্র্য : নীল, নীল-কালো আর ধূসর ছাড়াও গোলাপি, সাদা, হলুদ চলছে ভালো। প্লেইন জিন্সের পাশাপাশি অ্যামব্রয়ডারি করা জিন্স চলছে। সঙ্গে স্টোন বসানো, ডেকোরেটেড বোতাম, চেইন, জিপারের পরিবর্তে বোতাম চলছে।
কোথায় এবং কত দাম : ব্র্যান্ডের জিন্সগুলোর জন্য ব্র্যান্ডেড শপগুলোর বিকল্প নেই। মেনজ কাবে পাওয়া যাচ্ছে ১৮০০ থেকে ২২০০ টাকা পর্যন্ত। এক্সটেসিতে শুরু ১৪৮০ থেকে; এক্সকুসিভ ২৭০০ টাকা পর্যন্ত। ইয়োলোতে পাওয়া যাচ্ছে ১২০০ থেকে ২৩০০ পর্যন্ত। ওয়েস্টেকসে একেবারেই সাধারণ মানের জিন্স ২৫০ টাকা থেকে ২০৫০ টাকা। ব্র্যান্ড বাদে চাইলে ভরসা নিউমার্কেট ও ধানমণ্ডি হকার্স। এখানকার জিন্সের দাম ২০০ টাকা থেকে শুরু। কার জন্য কেমন জিন্স প্রয়োজন এ প্রসঙ্গে মেনস ওয়্যারের ডিজাইনার আরিফা খাতুন বলেন, 'স্লিম ফিগারের তরুণীরা সহজেই স্কিনি জিন্স বেছে নিতে পারেন। খাটো বা মাঝারি উচ্চতা হলে স্কিনি জিন্সের সঙ্গে একটু লম্বা ফতুয়া বেশ মানিয়ে যাবে। লম্বা তরুণীরা বেলবটম বা বুটকাট পরতে পারেন। জিন্সে ব্যাক পকেট না থাকাই ভালো।

- Sent using Google Toolbar"

দাড়ি কাটার কায়দা-কানুন

"পুরুষের স্মার্টনেসের অনেকখানি প্রকাশ পায় শেভিংয়ে। স্মুথ শেভিং প্রসঙ্গে জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস বলেন, নিজের তারুণ্য ও চেহারা আকর্ষণীয় করে তুলে ধরতে সহজ ও নিরাপদ শেভিংয়ের বিকল্প নেই। দাড়ির ধরন বুঝে প্রত্যেকের উচিত নির্দিষ্ট নিয়মে শেভ করা। শেভিংয়ের মাধ্যমে পুরুষের ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে।
সকাল নয়, রাতই উত্তম : শেভিংয়ের জন্য সকাল উপযুক্ত সময় নয়। ল্যাবএইডের কনসালট্যান্ট ও স্কিন স্পেশালিস্ট ডা. মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই শেভ করা ঠিক নয়। কারণ এ সময় দাড়ির গোড়া ফোলা থাকে, যা স্মুদলি শেভিংয়ের জন্য ভালো নয়; ত্বকের জন্যও তিকর। সকালে যদি একান্তই শেভ করতে হয় তবে ঘুম থেকে ওঠার আধা ঘণ্টা বা পৌনে এক ঘণ্টা পর করা ভালো। এছাড়া রাতে করাই ভালো।
উপযুক্ত সময় ও জায়গা : বাড়িতে শেভ করাই উত্তম। এতে সংক্রামক অসুখ থেকেও মুক্ত থাকা যায়। যদি একান্তই সেলুনে শেভ করতে হয় তাহলে সনাতন পদ্ধতির ুরে শেভ করবেন না। ল্য রাখতে হবে নরসুন্দর ুরে নতুন ব্লেড ভরছে কি না। হরমোনের ওপর নির্ভর করে ব্যক্তিভেদে দাড়ি কম-বেশি হয়ে থাকে। কাজেই যাদের মুখভর্তি দাড়ি তাড়াতাড়ি গজায় তাদের দু'দিন পরপর শেভ করা উত্তম। শেভ করার একদিন পরই দাড়ি স্পষ্টভাবে দেখা গেলে প্রতিদিনই শেভ করা যায়, তবে শেভ একদিন বাদ দিয়ে করাই উত্তম। যাদের কম দাড়ি গজায় তারা সপ্তাহে দু'বার শেভ করতে পারেন।
সেফলি ও স্মুদলি শেভিংয়ের জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করতে পারেন। পদ্ধতি জানিয়ে দিচ্ছেন পারসোনা এডামসের শেভিং এক্সপার্ট মো. আজগর হোসেন।
* শেভ করার আগে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। কিনজার বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এতে ময়লা দূর হয়ে লোমকূপগুলো উন্মুক্ত হয় ও মরা কোষগুলো দূর হয়।
* মুখে ভালোভাবে শেভিং ক্রিম, সোপ, জেল অথবা শেভিং ফোম লাগিয়ে নিন। কিছু সময় ভালোভাবে ফেনা হলে তারপর আস্তে আস্তে রেজর চালান। দ্বিতীয় বার ক্রিম বা ফোম লাগানোর আগে বা পরে শেভিং অয়েল লাগিয়ে নিতে পারেন।
* দাড়ি-গোঁফের অনুকূলে সহনশীল গতিতে রেজর টানবেন। গাল ও থুঁতনির কাছে ওপর থেকে নিচের দিকে এবং গলার দিকে একটু সতর্কতার সঙ্গে রেজর টানবেন।
* ত্বক শুষ্ক হলে আফটার শেভ লোশন লাগান।
* ভরাট গালে ব্লেড সমান জায়গায় সহজে ঘোরাফেরা করে তাই কাটার আশঙ্কাও বেশি থাকে। আবার যাদের গালের চোয়াল কিছুটা ভাঙা তাদেরও রেজর সাবধানে টানা উচিত।
* অনেকের ধারণা সিঙ্গেল ব্লেডে দাড়ি কাটা ভালো, না হলে দাড়ি শক্ত হয়ে যায়। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে ধারণাটি ভুল। শেভিংয়ের েেত্র ট্রিপল ব্লেড ব্যবহার করা ভালো এবং তুলনামূলক নিরাপদ।
* শেভিংয়ের পর মুখে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগান। ধুয়ে মুখে আফটার শেভ লোশন দিন।

- Sent using Google Toolbar"

হ্যান্ডশেক হবে স্বল্পস্থায়ী

"হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে একজন মানুষের মনোভাব, পেশাদারিত্ব, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আত্দবিশ্বাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। নমনীয় হ্যান্ডশেক আপনার সম্পর্কে এমন ধারণা জন্ম দিতে পারে যে, আপনি দুর্বলচিত্তের কিংবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা একজন মানুষ। আবার দৃঢ় হ্যান্ডশেকে পেঁৗছায় বিশ্বাস, নির্ভরতা, আগ্রহ এবং শ্রদ্ধার বার্তা। তাই হ্যান্ডশেক করার সময় কিছু আদব-কায়দা মেনে চলা উচিত।
কখন করবেন
ষপরিচিত কারো সঙ্গে দেখা হলে।
ষবাসা বা অফিসে প্রথম এসেছেন এমন কেউ হলে।
ষনতুন সহকর্মী, আমন্ত্রণকারী অথবা অন্য যে কারো সঙ্গে প্রথমবার পরিচিত হলে।
ষপরিচিত কারো সঙ্গে কর্মস্থল বা বাড়ির বাইরে দেখা হলে।
ষবিশেষ কোনো কাজ শেষে।
ষকোনো সামাজিক বা ব্যবসায়িক অনুষ্ঠান শেষে।
কখন করবেন না
ষযদি কারো দুই হাত জিনিসপত্রে ভর্তি থাকে এবং হ্যান্ডশেক করতে হলে সব নামানোর ঝামেলা থাকে।
ষকেউ এলে সম্ভাষণের সময় আপনার কিছু বলার নেই এ রকম ক্ষেত্রে। তবে এগিয়ে এলে করতে পারেন।
ষফোনে কথা বলার সময়।
ষহাত ভেজা থাকলে বা নোংরা থাকলে।
হ্যান্ডশেকের নিয়মাবলি
ষডান হাত ব্যবহার করুন। শক্তভাবে হাত মেলানোর প্রয়োজন নেই। বয়স্কদের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় সতর্ক থাকুন। হ্যান্ডশেকের সময় হাত বাড়িয়ে দিন। অপরের হাতটি ভালোভাবে ধরুন যাতে দুই জনের বুড়ো আঙুল ঠিকমতো পরস্পরকে স্পর্শ করে। হাত ঝাঁকাবেন উপরে-নিচে। ঝাঁকুনি শুরু হবে কনুই থেকে, কাঁধ থেকে নয়। ঝাঁকুনি দিন দুই থেকে তিনবার। হ্যান্ডশেকের সময় অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে একটু হাসুন। এতে আপনার যে অপরপক্ষের প্রতি মনোযোগ আছে তা প্রকাশ পাবে।
ষহ্যান্ডশেক হতে হবে স্বল্পস্থায়ী। মোটামুটি পাঁচ সেকেন্ড স্থায়ী। যাতে দুই জনেই দুই জনের নাম এবং সম্ভাষণের দু-একটি বাক্য পুরোপুরি বলে শেষ করতে পারেন।
ষহ্যান্ডশেক অনুশীলন করার সময় কিছু বিষয় পরিহার করা উচিত। যেমন শুধু আঙুলের মাথার দিকে অাঁকড়ে ধরা, হাত অতিরিক্ত ঝাঁকানো, হাত মোচড়ানো।
ষহাতটি ঝুলিয়ে বা কনুই সোজা করে হ্যান্ডশেক করা, অন্যদিকে মুখ করে কারো সঙ্গে হ্যান্ডশেক।
হ্যান্ডশেকের সৌজন্যরীতি
ষকারো সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময় দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন। তবে আপনি যার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন যদি তার থেকে দূরে থাকেন বা ওই লোকটির সঙ্গে দাঁড়িয়ে হ্যান্ডশেক করতে সমস্যা হয়, তবে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।
ষযদি কোনো নেইম ট্যাগ পরে থাকেন তবে তা ডানকাঁধে পরবেন কারণ হ্যান্ডশেকের সময় লোকজন ডানকাঁধে তাকায়।

হ্যান্ডশেক হবে স্বল্পস্থায়ী

"হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে একজন মানুষের মনোভাব, পেশাদারিত্ব, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আত্দবিশ্বাস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। নমনীয় হ্যান্ডশেক আপনার সম্পর্কে এমন ধারণা জন্ম দিতে পারে যে, আপনি দুর্বলচিত্তের কিংবা সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা একজন মানুষ। আবার দৃঢ় হ্যান্ডশেকে পেঁৗছায় বিশ্বাস, নির্ভরতা, আগ্রহ এবং শ্রদ্ধার বার্তা। তাই হ্যান্ডশেক করার সময় কিছু আদব-কায়দা মেনে চলা উচিত।
কখন করবেন
ষপরিচিত কারো সঙ্গে দেখা হলে।
ষবাসা বা অফিসে প্রথম এসেছেন এমন কেউ হলে।
ষনতুন সহকর্মী, আমন্ত্রণকারী অথবা অন্য যে কারো সঙ্গে প্রথমবার পরিচিত হলে।
ষপরিচিত কারো সঙ্গে কর্মস্থল বা বাড়ির বাইরে দেখা হলে।
ষবিশেষ কোনো কাজ শেষে।
ষকোনো সামাজিক বা ব্যবসায়িক অনুষ্ঠান শেষে।
কখন করবেন না
ষযদি কারো দুই হাত জিনিসপত্রে ভর্তি থাকে এবং হ্যান্ডশেক করতে হলে সব নামানোর ঝামেলা থাকে।
ষকেউ এলে সম্ভাষণের সময় আপনার কিছু বলার নেই এ রকম ক্ষেত্রে। তবে এগিয়ে এলে করতে পারেন।
ষফোনে কথা বলার সময়।
ষহাত ভেজা থাকলে বা নোংরা থাকলে।
হ্যান্ডশেকের নিয়মাবলি
ষডান হাত ব্যবহার করুন। শক্তভাবে হাত মেলানোর প্রয়োজন নেই। বয়স্কদের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় সতর্ক থাকুন। হ্যান্ডশেকের সময় হাত বাড়িয়ে দিন। অপরের হাতটি ভালোভাবে ধরুন যাতে দুই জনের বুড়ো আঙুল ঠিকমতো পরস্পরকে স্পর্শ করে। হাত ঝাঁকাবেন উপরে-নিচে। ঝাঁকুনি শুরু হবে কনুই থেকে, কাঁধ থেকে নয়। ঝাঁকুনি দিন দুই থেকে তিনবার। হ্যান্ডশেকের সময় অপরের চোখের দিকে তাকিয়ে একটু হাসুন। এতে আপনার যে অপরপক্ষের প্রতি মনোযোগ আছে তা প্রকাশ পাবে।
ষহ্যান্ডশেক হতে হবে স্বল্পস্থায়ী। মোটামুটি পাঁচ সেকেন্ড স্থায়ী। যাতে দুই জনেই দুই জনের নাম এবং সম্ভাষণের দু-একটি বাক্য পুরোপুরি বলে শেষ করতে পারেন।
ষহ্যান্ডশেক অনুশীলন করার সময় কিছু বিষয় পরিহার করা উচিত। যেমন শুধু আঙুলের মাথার দিকে অাঁকড়ে ধরা, হাত অতিরিক্ত ঝাঁকানো, হাত মোচড়ানো।
ষহাতটি ঝুলিয়ে বা কনুই সোজা করে হ্যান্ডশেক করা, অন্যদিকে মুখ করে কারো সঙ্গে হ্যান্ডশেক।
হ্যান্ডশেকের সৌজন্যরীতি
ষকারো সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সময় দাঁড়ানোর চেষ্টা করবেন। তবে আপনি যার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন যদি তার থেকে দূরে থাকেন বা ওই লোকটির সঙ্গে দাঁড়িয়ে হ্যান্ডশেক করতে সমস্যা হয়, তবে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই।
ষযদি কোনো নেইম ট্যাগ পরে থাকেন তবে তা ডানকাঁধে পরবেন কারণ হ্যান্ডশেকের সময় লোকজন ডানকাঁধে তাকায়।

খুশকি

"বাইরে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে চুলে চিরুনি করতেই মেজাজটাই বিগড়ে গেল রিমির, মাথার ওপর খুশকি ভাসছে।র খুশকির যন্ত্রণায় অস্থিরিমি। শীত এলে তো কথাই নেই। মাথায় একেবারে রাজত্ব গেড়ে বসে খুশকি। বাইরে যেতে অস্বস্তি হয়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে রিমির এই সমস্যা হতো না। এমন কিছু নিয়মের কথা জানাচ্ছেন পারসোনার রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান

খুশকি কেন হয়?
খুশকি হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। জন্মগত বা জেনেটিক্যাল কারণে হলে খুশকি বশে আনাটা বেশ কষ্টকর। এক্ষেত্রে খুলির ত্বকে সমস্যা থাকে। অনেকের ওষুধে সারে, অনেকের সারে না। ওষুধ ব্যবহার করে এবং কিছু নিয়ম মেনে খুশকি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
অন্যান্য কারণ : অতিরিক্ত ধুলাবালিতে চুলে ময়লা জমে যায় দ্রুত। ফলে খুশকির উপদ্রব বাড়ে।
করণীয় : যতটা সম্ভব ধুলাবালি এড়িয়ে চলুন। রাস্তায় চলাচলের সময় মাথা স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রাখুন। যদি প্রতিদিনই অতিরিক্ত ধুলাবালিতে চলতে হয়, তাহলে প্রতিদিন বা একদিন অন্তর মাইল্ড শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার আগে অাঁচড়িয়ে চুল থেকে ধুলাবালি ঝেড়ে ফেলুন।
শুষ্ক আবহাওয়া : শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আদর্্রতা কমে গিয়ে চামড়া ওঠে বা ত্বককে রুক্ষ করে। ফলে খুশকি বেড়ে যায়।
করণীয় : গরম নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে লাগান। একটা টাওয়াল গরম পানিতে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখুন মিনিট বিশেক। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ঘাম, বৃষ্টির পানি : ঘাম, বৃষ্টির পানি চুলের জন্য ক্ষতিকর। বার বার ঘষলে চুলকানি ও খুশকি হয়। আর বৃষ্টির পানিতে চুল রুক্ষ হয়ে যায়।
করণীয় : যখনই সম্ভব দ্রুত ঘাম শুকিয়ে নিন। প্রতিদিন শ্যাম্পু করার প্রয়োজন হলে বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। বৃষ্টির পানি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। সম্ভব না হলে বাসায় ফিরেই মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
বাড়িতে তৈরি করুন হেয়ার প্যাক
১. সকালে পাতিলেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে মাথায় লাগান। ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলুন।
২. ডিমের সাদা অংশ, লেবু, নিমপাতা এবং আদার রস মিশিয়ে মাথায় লাগান। আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
৩. পেঁয়াজের রস, ডিম, বাঁধাকপির রস_এগুলোতে প্রচুর সালফার আছে। এগুলো মাথায় লাগিয়ে আধঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।
৪. নিম তেল ব্যবহারে খুশকি চলে যায়।
৫. আমলকীর রস ও মেথি বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে মাথায় লাগান, খুশকি চলে যাবে।

কী করবেন
হট অয়েল ম্যাসাজ করুন।
খুশকির সমস্যা প্রকট হলে হেনা ব্যবহারের সময় ছেঁকে শুধু রসটা মাথায় দিন।
চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহারের সময় ছয় ইঞ্চি দূরত্বে রেখে ব্যবহার করুন।
ভেজা চুল বাঁধবেন না।
বৃষ্টির পানি এড়িয়ে চলুন। কী করবেন না
কমন ব্রাশ ব্যবহার করবেন না।
পার্লারে চুল কাটতে গেলে চিরুনিটা পরিষ্কার কি না দেখে নিন।
নিজের চিরুনি পরিষ্কার রাখুন।
চিরুনি, পরচুলা, টাওয়েল_ এগুলো আলাদা ব্যবহার ক

frshup mind

"সবাই চায় বিশেষ দিনগুলোতে নিজেকে একটু আলাদা করে উপস্থাপন করতে। নিজেকে আরাম দেয় এমন পোশাকই বেছে নেওয়া উচিত। কারণ দেখা যায়, সকালে বের হলে সব প্রোগ্রাম শেষ করে ফিরতে রাত হয়ে যায়। তাই এ সময় সুতি, জুট কটনের পোশাক উত্তম। সব সময়ের সঙ্গী জিন্স, টি-শার্ট আর হাল আমলের ফ্যাশনেবল স্নিকার্সও হতে পারে এ দিনের পোশাক। অনেকে এই দিনে পাঞ্জাবি পরতে চান। সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন, তা যেন সুতির হয়।
আর পাঞ্জবির সঙ্গে হালকা স্যান্ডেল পরুন। নিজেকে ফ্রেশ দেখানোর জন্য দুই দিন আগেই ফেসিয়াল করে নিতে পারেন।
সকালে বের হওয়ার সময় কড়া রোদ থাকলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। তৈলাক্ত ত্বকে খুব ঘাম হয়। সে ক্ষেত্রে বের হওয়ার আগে ফিটকিরি একটু পানি দিয়ে ভিজিয়ে তা মুখে হালকা ঘষে নিতে পারেন। এতে স্কিনটা টোনিং থাকবে। সঙ্গে সানগ্লাসও রাখুন।
চুলের স্টাইলটাও পরিবর্তন করে নিতে পারেন। তবে গরমের মধ্যে হেয়ার জেল ব্যবহার না করাই ভালো। যদি করতেই হয়, তবে হালকা করে হেয়ার স্প্র্রে ব্যবহার করতে পারেন। সারাদিনের জন্য বের হলে মুখটা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মাঝে মাঝে ধুয়ে ফেলুন। হালকা সুগন্ধির পারফিউম ব্যবহার করুন। যাঁরা একটু বেশি ঘামেন তাঁরা গোসলের পর ডিওডোরেন্ট বার ব্যবহার করুন।
টিপস
* ভাপসা গরমে অয়েল ফ্রি কসমেটিক্স ব্যবহার করুন।
* সানস্ক্রিন ক্রিমের সুফল পেতে হলে সানস্ক্রিনের সঙ্গে ফাউন্ডেশন মিশিয়ে ব্যবহার করুন।
* গরমে চুলে জেল বা ল্যাকার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। চুল চিটচেটে হয়ে যাবে। এ ছাড়া স্কাল্পে খুশকির সমস্যা দেখা যেতে পারে।
* যেকোনো পোশাক পরার আগে ভেবে দেখুন তা আপনাকে মানাচ্ছে কি না।
* রোদে অবশ্যই ছাতা ও সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
* প্রচুর পানি পান করুন যাতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে।
* শ্যাম্পু করার আগে সামনে থেকে পেছনে চুল ভালো করে আঁচড়ে নিন।

- Sent using Google Toolbar"

news kopil dev

"৬৩ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় মারা যান পুরান সিং নামের ভারতীয় এক অভিবাসী। শহরের রাস্তায় ঘোড়ার গাড়িতে করে মালামাল ফেরি করা ছিল তাঁর পেশা। মৃত্যুর আগে নিঃসন্তান পুরানের আশা ছিল হয়তো একদিন তাঁর আত্দীয়স্বজন এসে তাঁর দেহভস্ম দাবি করবে, মাতৃভূমিতে নিয়ে সৎকার করবে। তাই তিনি তাঁর দেহভস্ম একটি শবঘরে (ফিউনারাল হোম) রেখে দেওয়ার অনুরোধ করেন। অবশেষে তাঁর শেষ ইচ্ছা পূরণ হতে চলেছে ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার কপিল দেবের কল্যাণে। পুরান সিংয়ের কাহিনী শুনে তাঁর দেহভস্ম নিতে গতকাল রবিবার কপিল হাজির হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের ওয়ার্নাম্বুলে।
অস্ট্রেলিয়ার টেলিভিশন সাংবাদিক মানপ্রিত সিং জানান, কপিল পুরানের দেহভস্ম ভারতে নিয়ে গিয়ে গঙ্গায় বিসর্জন দেবেন বলে জানিয়েছেন।
ওয়ার্নাম্বুল স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকাকে কপিল বলেন, 'এটা এক বিস্ময়কর কাহিনী। জীবনে যত কাজ করেছি তা থেকে এটা একেবারেই আলাদা। বহু মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে পুরানের কাহিনী। এ গল্প মানুষে মানুষে সম্পর্ক তৈরি করবে আর প্রচার করবে ভালোবাসার বাণী। এটা এমনই আবেগতাড়িত এক গল্প, যার সমাপ্তি সুন্দর।'
ভারতের পাঞ্জাবের বিলগা গ্রামের পুরান ১৮৯৯ সালে গ্রাম ছাড়েন। ১৯৪৭ সালে ৭৭ বছর বয়সে তিনি মারা যান। সে সময়ে ওয়ার্নাম্বুলের গাইয়েটস ফিউনারালস হোম পুরানের মৃতদেহ মেলবোর্নের ক্রিমেটরিয়ামে (যেখানে শব পোড়ানো হয়) পাঠায়। ওই সময় রাজ্যের একমাত্র ক্রিমেটরিয়ামটি ছিল মেলবোর্নে। পরে তাঁর দেহভস্ম একটা প্লাস্টিকের সিলিন্ডারে ভরে আবার ওয়ার্নাম্বুলে পাঠানো হয়। ফিউনারাল হোম সে সময় এবং পরে ১৯৮০-এর দশকে দুবার পাঞ্জাবে পুরানের আত্দীয়স্বজনের খোঁজ করেন। কিন্তু কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে ওয়ার্নাম্বুল কবরস্থান কর্তৃপক্ষ ওই দেহভস্ম সমাধি ক্ষেত্রের দেয়ালের ফোঁকরে রেখে দেয়।
মানপ্রিত সিং জানান, তাঁর সঙ্গে অভিবাসী ভারতীয় ছাত্রদের প্রতি অস্ট্রেলীয়দের সাম্প্রতিক মনোভাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল কপিলের। যুক্তি-পাল্টাযুক্তির এক পর্যায়ে মানপ্রিত সিং কপিলকে শোনান অস্ট্রেলিয়ান ফিউনারাল কর্তৃপক্ষ একজন ভারতীয় হকারের শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য যা যা করেছে তাঁর কাহিনী। এর পরই কপিল পুরানের মৃতদেহ দেশে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গত মাসে বিষয়টি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে আসার পর পুরানের আত্দীয়স্বজনের খোঁজ পাওয়া যায়। তারা পাঞ্জাব ও ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন।

- Sent using Google Toolbar"

sekh mojib killer hanging

তওবা পড়েনি ঘাতকরা। ছিল না শেষ ইচ্ছা, পছন্দের খাবার। শেষ গোসলও করেনি ফারুক
* বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো এমন অনেকে জড়িত, যা আমরা জানি। শেষ ইচ্ছা ছিল এগুলো বলার কিন্তু বলতে চাই না : ল্যান্সার মহিউদ্দিন ও আর্টিলারি মহিউদ্দিনডেডলাইন ১২:০১ পারভেজ খানকোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে কারাবিধি অনুযায়ী তাকে তওবা পড়ানো হয় (মুসলমান হলে)। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর পাঁচ ঘাতক তওবা পড়তে অস্বীকৃতি জানায়। তাই তওবা ছাড়াই তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসির আসামিদের কাছে জানতে চাওয়া হয় তার শেষ ইচ্ছা কী; পছন্দের কোনো খাবার খেতে চায় কি না; শেষবারের মতো কিছু বলার আছে কি না। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করার আগেও পাঁচ আসামির কাছে এসব জানতে চেয়েছিল কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পাঁচ আসামির সবাই বলেছে, এসব কিছুর ইচ্ছা তাদের নেই। উপরন্তু দুজন বলেছে, এসব করে আর বলে লাভ কী? কারণ তাদের ভাষায়, শাস্তি দেওয়ার নামে যা করা হচ্ছে, তা অবৈধ।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তারা এমন কিছু জানে, যা প্রকাশ করলে অনেকের মুখোশ খুলে যাবে। বের হয়ে আসবে থলের বিড়াল। কিন্তু মরার আগে আর কাউকে তারা বিব্রত করতে চায় না। তবে একজন কিছু চেয়েছিল। তার চাওয়া ছিল মৃত্যুর আগে নয়, মৃত্যুর পর যেন তার লাশ হেলিকপ্টারে করে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। তার স্বজনরাও কারাগারে মৌখিকভাবে এই আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু লিখিত কোনো আবেদন করেননি বলে তা সম্ভব হয়নি।
এ রকম অনেক নাটকীয় ঘটনার পর বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর পাঁচ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকরের পালা। কারাগারের বিভিন্ন সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তওবায় অনীহা : বুধবার রাত ১১টার দিকে কারা কর্মকর্তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পুকুরপাড় মসজিদের ইমাম মনির হোসেনকে রজনীগন্ধা সেলে নিয়ে যান পাঁচ বন্দিকে তওবা পড়াতে। কিন্তু ইমামসহ কারা কর্মকর্তাদের অবাক করে দিয়ে পাঁচ বন্দির কেউই তওবা পড়তে রাজি হয়নি। তারা বলেছে, আমরা নিজেরাই তওবা পড়তে পারি। কোনো আনুষ্ঠানিকতার তওবা বা ইমামের প্রয়োজন নেই। এরপর ইমাম সাহেব তাঁর মতো করে তওবা পাঠ করে শোনান।
শেষ ইচ্ছা বলে কিছু নেই : শেষ ইচ্ছার কথা বলা হলে পাঁচ বন্দির সবাই বলেছে, তাদের কোনো শেষ ইচ্ছা নেই। লে. কর্নেল (অব.) মহিউদ্দিন আহমদ (আর্টিলারি) ও মেজর (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ (ল্যান্সার) বলেন, শাস্তি দেওয়ার নামে যা করা হচ্ছে, তা অবৈধ। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো এমন অনেকে জড়িত, যা আমরা জানি। শেষ ইচ্ছা ছিল এগুলো বলার, কিন্তু তা বলতে চাই না। বললে অনেক রাজনীতিক রাঘব বোয়ালের নাম প্রকাশ পাবে। বের হয়ে আসবে থলের বিড়াল। মারা যাওয়ার আগে আর কাউকে বিপদে বা বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে চাই না।
মেজর (অব.) বজলুল হুদা বলে, 'আমার শেষ ইচ্ছা যা, তা কারা কর্মকর্তাদের সামনেই এর আগে স্ত্রীকে বলেছি। স্ত্রীকে বলেছি, জীবন তো আর এমন হওয়ার কথা ছিল না। তাকে আরো বলেছি, পরকালে তার সঙ্গে আবার দেখা হবে। সবাই দোয়া করবেন, যাতে আমি পরকালে স্ত্রীর দেখা পাই।'
শেষ ইচ্ছার কথা না জানালেও সবাই বলেছে, তাদের কবর যেন স্বজনদের পাশে দেওয়া হয়।
খাবারে পছন্দ নেই : বন্দিদের বলা হয়েছিল তাদের বিশেষ কিছু খেতে ইচ্ছা করছে কি না। তারা বিশেষ পছন্দের কোনো খাবারের ইচ্ছা প্রকাশ করেনি। ফলে রুটিন হিসেবেই তাদের শেষবেলার খাবার দেওয়া হয়। এই তালিকায় ছিল ভাত, রুটি, ডাল, গরুর মাংস, আলু-টমেটো-ফুলকপি দিয়ে তৈরি সবজি আর গরুর দুধ। সবাই এসব খেয়েছে, তবে পরিমাণে অল্প। বিকেলে অবশ্য তাদের নিজেদের টাকা থেকেই (প্রিজনার্স ক্যাশ) সিঙাড়া, পুরি ও কেক এনে খায়। তবে সরবরাহ করার আগে প্রতিটি খাবারই কারা কর্মকর্তারা পরীক্ষা করে দিতেন।
রায় শোনার পরও অবিচল : ওই দিন রাত ১০টার দিকে স্বজনরা চলে যাওয়ার পরপরই সোয়া ১০টায় কারা কর্মকর্তারা সেলে গিয়ে বন্দিদের জানান, আজই তাদের সাজা কার্যকর করা হবে। কিন্তু কাউকে বিচলিত হতে দেখা যায়নি। মনে হয়েছে, এ রকম প্রস্তুতি তারা নিয়েই রেখেছিল। কেউ কোনো কান্নাকাটিও করেনি। যা করেছে তা স্বজনদের সামনে এবং তাঁদের কাছে পেয়ে। অবশ্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংবাদ পেয়ে প্রায় সবাই বলেছে, তারা অপরাধী না। ন্যায্য বিচার থেকে তাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
গোসল-পোশাক : মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে সবাইকে গোসল করতে বলা হয়। সবাই গোসল করতে রাজি হলেও লে. কর্নেল (বরখাস্ত) সৈয়দ ফারুক রহমান রাজি হয়নি। তার গোসলের ইচ্ছা বা প্রয়োজন নেই বলে সে জানায়। সেলের পাশেই গোসলখানা। চার বন্দি মগে করে নিজেরাই পানি ঢেলে গোসল করে। এ সময় কারা মসজিদের ইমামও উপস্থিত ছিলেন। তিনি তাঁর উপস্থিতির প্রায় পুরো সময়ই দোয়া-দরুদ পড়ে গেছেন।
বন্দিরা অনেক সময় তাদের সাধারণ পোশাক পরত। তবে গোসলের পর সবাইকে কয়েদিদের জন্য নির্ধারিত পোশাক পরতে বলা হয়। তারা সে পোশাকই পরে। এ সময় কেউই কোনো আপত্তি করেনি। এই পোশাক হচ্ছে সাদা-কালো ডোরাকাটা ফতুয়া ধরনের পাঞ্জাবি আর পায়জামা।
ফাঁসির মঞ্চ : রজনীগন্ধা সেলের মাত্র কয়েক গজের মধ্যেই ফাঁসির মঞ্চ। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়। কাপড় দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় মঞ্চ। ঝোলানো হয় ম্যানিলা রোপ বা ফাঁসির দড়ি। চারপাশে জ্বালানো হয় উচ্চক্ষমতার লাইট। মঞ্চের অদূরে সারি সারি সাজানো হয় চেয়ার। এই চেয়ারে এসে একে একে বসতে থাকে ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট আর চিকিৎসকের দল। কারা কর্মকর্তাদের কয়েকজন জল্লাদদের সঙ্গে নিয়ে ফাঁসি কার্যকর করার হাতল বা লিভার টেনে পরখ করে দেখেন পায়ের নিচের পাটাতন একপাশ খুলে নিচে ঝুলে যায় কি না। পাটাতনের নিচেই ১০ ফুট গভীর কূপ। রশিতে মাখানো হয় বিশেষ এক ধরনের তেল। এক এক করে মঞ্চের পাশে সারিবদ্ধ করে রাখা চেয়ারে এসে বসেন ঢাকার জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মহা কারা পরিদর্শক, উপ মহা কারা পরিদর্শক, ঢাকার সিভিল সার্জন, সহকারী সিভিল সার্জন, কারাগারের তিন চিকিৎসকসহ ঊর্ধ্বতন কারা কর্মকর্তারা। মঞ্চের অদূরে আরেক পাশে অবস্থান নেয় ১২ জন জল্লাদ। ১২ জন শসস্ত্র কারারক্ষী ও নিরাপত্তা-আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেক সদস্যও এ সময় উপস্থিত হন। ফাঁসি কার্যকর করার সময় উপস্থিতির সংখ্যা ছিল এক শর ওপর।
এক এক করে পালা : রাত সাড়ে ১১টার দিকে কারা কর্মকর্তারা যান রজনীগন্ধা সেলে। কর্মকর্তারা দুই ভাগে ভাগ হয়ে একদল যান ৬ নম্বর কক্ষে কর্নেল ফারুকের কাছে। এ সময় সে পায়চারি করছিল। আনুষ্ঠানিক কিছু কথা শেষে কারা কর্মকর্তারা হাতকড়া দিয়ে কর্নেল ফারুককে দুই হাত পেছন করে বেঁধে ফেলেন। এরপর তার মুখ ঢেকে ফেলা হয় মোটা কালো কাপড়ের তৈরি মুখোশ বা 'যমটুপি' দিয়ে। এ সময়ও ইমাম সাহেব উপস্থিত থেকে তাদের তওবা পড়ানোর চেষ্টা করেন এবং দোয়া-দরুদ পড়েন।
কারা কর্মকর্তাদের আরেক দল যায় ৭ নম্বর কক্ষে লে. কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খানের কাছে। তাকেও একইভাবে প্রস্তুত করা হয়। এ সময় শাহরিয়ার বলে, 'আমাকে ঝুলিয়ে দিচ্ছেন দেন, কিছুই বলার নেই। কারণ আপনারা ফাঁসি কার্যকরের কোনো নিয়মই মানেননি।'
ডেডলাইন রাত ১২: ০১ : সেল থেকে মঞ্চের দিকে আনা হয় কর্নেল ফারুক আর শাহরিয়ারকে। তারা হেঁটে আসছিল। তবে অনেকটা জোর করেই টেনে আনা হাচ্ছিল বলে মনে হয়েছে। ১২ টা ১ মিনিটে প্রথমে মঞ্চে ওঠানো হয় ফারুক এবং পরে শাহরিয়ারকে। একই মঞ্চে দূরত্ব রেখে দুজনকে পাশাপাশি দাঁড় করানো হয় পাটাতনের ওপর আর ঝুলন্ত রশির নিচে। বেঁধে ফেলা হয় দুজনের পা। জল্লাদ কালু এসে গলায় রশি পরিয়ে দেয় দুই বন্দির গলায়। তার পাশে এসে দাঁড়ায় অন্য দুই জল্লাদ শাহজাহান ও হাফিজ। গলার রশি পরখ করে দেখেন সিনিয়র জেল সুপার তৌহিদুল ইসলাম। এরপর তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান।
ফাঁসির মঞ্চের সারিবদ্ধ চেয়ারে সবাই বসে। শুধু এক হাতে লাল রঙের রুমাল, আরেক হাতে ঘড়ি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন সিনিয়র জেল সুপার তৌহিদুল ইসলাম। উপস্থিত সবার দৃষ্টি মঞ্চের দিকে। জল্লাদ কালুর দৃষ্টি জেল সুপারের হাতের রুমালের দিকে আর জেল সুপারের দৃষ্টি তাঁর হাতে ধরে রাখা ঘড়ির দিকে। পিন পতন নীরবতা।
এভাবেই ঘড়িতে রাত ১২টা ৫ মিনিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেল সুপার তাঁর হাতে থাকা রুমাল ফেলে দেন মাটিতে। রুমাল পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চের লিভার টেনে ধরে জল্লাদ কালু। একটি লিভার টানতেই পাটাতন সরে যাওয়ায় ঝুলে পড়ে ফারুক আর শাহরিয়ার। ঝরে গেল বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দুই ঘাতক। এভাবেই ঝুলতে থাকে আধা ঘণ্টা। এরপর অবশিষ্ট ৯ জন জল্লাদ এসে তাদের দুজনের লাশ নামিয়ে স্ট্রেচারে উঠিয়ে নেমে যায় মঞ্চ থেকে। লাশ রাখা হয় মঞ্চের অদূরে রাখা চৌকিতে। সিভিল সার্জনকে সঙ্গে নিয়ে তিন কারা চিকিৎসক যান সেখানে। মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর শুরু হয় ময়নাতদন্ত।
রাত ১২: ৩০ : একদিকে চলছে ময়নাতদন্ত, আরেক দিকে তখন সব প্রক্রিয়া শেষ করে মঞ্চের দিকে আনা হচ্ছে যমটুপি পরা অবস্থায় বজলুল হুদা আর ল্যান্সার মহিউদ্দিনকে। তাদের দুজনকেও যেন অনেকটা টেনে-ঠেলেই মঞ্চে আনা হয়। জল্লাদরা বন্দিদের দুই হাত ধরে আছে দুপাশ থেকে। মঞ্চে প্রথমে ওঠানো হয় বজলুল হুদা, পরে ল্যান্সার মহিউদ্দিনকে। পুরো সময়ই দোয়া-দরুদ পড়ছিলেন ইমাম মনির হোসেন। আগের মতোই আবারও পিন পতন স্তব্ধতা। রাত যখন ১২টা ৩৫ মিনিট, তখনই আবার সেই লাল রুমালের পতন। কালুর লিভার টানা। সঙ্গে সঙ্গে পতন আরো দুই ঘাতকের। লাশ নামানোর পর শুরু হয় ময়নাতদন্ত। এখন রইল বাকি এক। মহিউদ্দিন আর্টিলারি।
রাত ১২: ৫০ : মঞ্চে পিন পতন স্তব্ধতা চললেও ৪ নম্বর কক্ষ থেকে ভেসে আসছে টানা চিৎকার_'আমি ঘাতক নই, বাবা। আমাকে ছেড়ে দাও, বাবা। বাবা, তোমাদের পায়ে পড়ছি, আমাকে ফাঁসি দিয়ো না। আমি কোনো অন্যায় করিনি, বাবা।' 'বাবা বাবা' বলেই বেশি চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। চিৎকার করছিল মহিউদ্দিন আর্টিলারি। তাকে অনেকটা পাঁজাকোলা করেই মঞ্চে আনা হয়। (জানা যায়, সে কিছুটা অসুস্থ ছিল। কেউ কেউ বলেছেন, দেহের এক পাশ কিছুটা প্যারালাইসিস ছিল আর্টিলারি মহিউদ্দিনের। তবে কারা সূত্র এই অসুস্থতার কথা স্বীকার করেনি। মঞ্চে আনার পরও ছটফট করছিল সে। বসে পড়ে পাটাতনের ওপর। সেখানেও চিৎকার করতে থাকে।
রাত ১টা ৫ মিনিটে জেল সুপারের হাত থেকে পড়ে যায় সেই লাল রুমাল। সচল হয় কালু জল্লাদের হাত। ঝুলে পড়ে মহিউদ্দিন আর্টিলারি।
এক ডজন জল্লাদ : এই পাঁচ ফাঁসি কার্যকর করতে তিন জল্লাদ প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। এরা হচ্ছে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ঢাকার কালু মিয়া। এর আগে সে আরো সাতটি ফাঁসি কার্যকর করেছে। আরেকজন নরসিংদীর শাহজাহান ভুইয়া। হত্যা মামলায় সে ৪২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। এর আগে সে আরো ১৭টি ফাঁসি কার্যকর করেছে। শেষ দলনেতা গাজীপুরের হাফিজ। সে হত্যা মামলায় ৪৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত। এর আগে আরো সাতটি ফাঁসি কার্যকর করেছে। বাকি ৯ জন হচ্ছে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মাসুম (আগে আরো দুটি ফাঁসি কার্যকর করেছে), কামরুজ্জামান (এই প্রথম), তানভির হাসান রাজু (আগে আরো চারটি কার্যকর করেছে), আবুল (৫০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত, এই প্রথম), মোয়াজ্জেম (এই প্রথম), মনির হোসেন (এর আগে আরো দুটি কার্যকর করেছে), জালাল ব্যাপারী (এই প্রথম), শেখ সানোয়ার (এই প্রথম) ও বাবুল আলী (এর আগে আরো দুটি ফাঁসি কার্যকর করেছে)।
সেই কক্ষগুলো এখন : বন্দি না থাকলেও কক্ষগুলো তালাবদ্ধ রাখা হয়েছে। প্রতিটি কক্ষে বন্দিদের বই, কাগজপত্র ও নিত্যব্যবহারের যেসব সরঞ্জাম ছিল, সেগুলো ব্যাগে ভরে যার যার কক্ষের মেঝেতে রাখা হয়েছে। কারা সূত্র মতে, এগুলো পরে ওয়ারিশদের কাছে ফেরত দেওয়া হবে।
কার কেমন আচরণ ছিল : গতকাল বৃহস্পতিবার কারাগারের একাধিক কর্মকর্তা আর কারারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বন্দিদের নানা আচরণের কথা। ফিরোজ নামের একজন কারা ফার্মাসিস্ট জানান, শাহরিয়ার আর ফারুক দুজনই মজার মজার কথা বলে রক্ষীদের সঙ্গে হাসি-রহস্য করত। তাঁকে দেখলেই বলত, কী খবর, ফিরোজ সাঁই? কেমন আছেন? মহিউদ্দিন আর্টিলারি প্রায় প্রতিদিনই রোজা রাখত। নামাজ পড়ত নিয়মিত। কারারক্ষীদের অনুরোধ করত নামাজ পড়ার জন্য। রক্ষীদের হাতে সে অনেকটা জোর করেই তসবি তুলে দিত। দাড়ি রাখতে বলত সবাইকে। বলত, যারা বিয়ে করেনি, তারা দাড়ি রাখলে ভবিষ্যতে সুন্দর বউ পাবে।
অন্য একাধিক সূত্র মতে, শাহরিয়ার ছিল কিছুটা কড়া মেজাজের। কাপড় ধুয়ে শুকানোর জন্য মেলে দেওয়ার পর বা ঘরে এসে কেউ তার কাপড় স্পর্শ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠত। এমনকি এসব নিয়ে কারা কর্মকর্তা বা চিকিৎসকদের সঙ্গেও উচ্চবাচ্য করত।
কর্নেল ফারুক প্রচুর বই পড়ত। তার ঘর ছিল যেন ছোটখাটো একটা লাইব্রেরি। মারা যাওয়ার কদিন আগেও আত্দীয়স্বজন তার সঙ্গে দেখা করে প্রচুর বই দিয়ে যান। এসব বইয়ে কেউ হাত দিলে সে রেগে যেত।
চিকিৎসকরা বলেন : ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী সার্জন মো. শামসুদ্দীন, মেডিক্যাল অফিসার রথীন্দ্রনাথ কুণ্ডু ও মেডিক্যাল অফিসার রফিক আহমেদ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, বন্দিদের কেউ তাঁদের সঙ্গে কখনো খারাপ আচরণ করেনি। কারো বড় ধরনের কোনো অসুখ ছিল না। গত ১৯ তারিখের পর থেকে তাঁরা ছয় ঘণ্টা পর পর গিয়ে এই পাঁচ বন্দির খোঁজখবর নিতেন। ফাঁসির রাত ১১টার দিকে তাঁরা এই বন্দিদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা স্বাভাবিক ছিল। তবে রক্তের চাপ বা ব্লাড প্রেসারের সিস্টোলিক হিসাবটা কিছুটা বেশি ছিল। চিন্তার কারণে এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর ঢাকার সিভিল সার্জন মুশফিকুর রহমানের উপস্থিতিতে তাঁরা প্রথমে সার্ভাইক্যাল ভারটিব্র্যাক এবং স্পাইনাল কর্ড কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এর পরপরই ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর কারণ লিখে সনদপত্র দেন।
কারা কর্মকর্তা বলেন : কালের কণ্ঠের পক্ষ থেকে কথা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, 'খুবই স্বাভাবিক আর সম্পূর্ণ কারা বিধিমতেই পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। তবে আর্টিলারি মহিউদ্দিন কিছুটা সমস্যা করার চেষ্টা করেছে। এর আগেও আমি একাধিক ফাঁসি কার্যকর করেছি। তবে এই পাঁচ বন্দির কাছ থেকে মৃত্যু কার্যকর করার ক্ষেত্রে যে সহযোগিতা পেয়েছি, আগে কখনো সে রকম পাইনি। বন্দি হিসেবেও তারা যথেষ্ট শান্ত ছিল।'